Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু
কচুয়ায় ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

কচুয়ায় ডাক্তারের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

চাঁদপুরের কচুয়ায় ডাক্তারের অবহেলায় হালিমা বেগম (৩৫) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে পাশর্^বর্তী চান্দিনার দেওকান্তা গ্রামের সাব্বির হোসেন ওরফে সিব্বির মিয়ার স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাদি হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে চিকিৎসাজনিত অবহেলার দায়ে ৩০৪/(ক) ৩৪ ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করেন। যার নং ৪।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে নিহতের লাশ পোস্ট মর্ডেমের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরণ করেছে। যেহেতু দু’হাসপাতালের ঘটনা। কারা দোষী তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’

থানায় মামলা সূত্রে জানা, ৭ আগস্ট হালিমা বেগমের প্রসব ব্যথা দেখা দিলে কচুয়ার ফয়জুন্নেছা হাসপাতালে ভর্তি করলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সিজারিং এর মাধ্যমে তার প্রসব ঘটায়। ওই প্রসূতি মায়ের একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কন্যা সন্তানটিকে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রেরণ করলে ওই হাসপাতালে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে।

এদিকে ফয়জুন্নেছা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রসূতি হালিমা বেগমকে ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা দিয়ে তার স্বামীর বাড়িতে প্রেরণ করে। বাড়িতে প্রেরণের পর থেকে হালিমা বেগমের পেটের ব্যথা বাড়তে থাকে। পরে তার স্বজনরা তাকে পুনরায় ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার জরায়ুতে টিউমার আছে বলে ঔষধ লিখে দেন। ডাক্তারি পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবনের পরেও হালিমা বেগমের পেটের ব্যথা ভালো না হওয়ায় তার স্বামী সাব্বির মিয়া ২৯ আগস্ট কুমিল্লা শহরস্থ মনোহরপুর আদর্শ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোগীর অভিভাবকে জানান-তার পেটের ভেতরে একটি কাপড়ের গজ (সার্জিক্যাল মব) রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশন করা প্রয়োজন। নিহতের স্বজনরা ডাক্তারের পরামর্শমতে আবারো অপারেশনের অনুমতি দিলে দ্বিতীয় বারের মতো তার অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর রাতে সে মারা যায়। নিহত হালিমা বেগমের তিন পুত্র সন্তান রয়েছে।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) কচুয়া বাজারে সচেতন নাগরিকের ব্যানারে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন করা হয়। পরে ইউএনও নীলিমা আফরোজের কাছে স্মারক লিপি পেশ করে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:১৫ পিএম,৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮,সোমবার
এজি

Leave a Reply