Home / বিশেষ সংবাদ / ১০৬ বছর বয়সী বুড়ির সাবস্ক্রাইবার সাড়ে চার লাখ
১০৬ বছর বয়সী বুড়ির সাবস্ক্রাইবার সাড়ে চার লাখ

১০৬ বছর বয়সী বুড়ির সাবস্ক্রাইবার সাড়ে চার লাখ

চমকপ্রদ সব আইডিয়া নিয়ে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরাই যখন ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন ১০৬ বছরের এক বুড়ির সাড়ে চার লক্ষ সাবস্ক্রাইবার! হ্যাঁ, এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন ভারতের এক অজপাড়াগাঁয়ের মাস্তানআম্মা৷

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের এই মাস্তানআম্মার একেবারেই সেকেলে উপকরণ দিয়ে বিভিন্ন রান্নার কায়দাকানুন বিষয়ক চ্যানেলটি ঝড় তুলেছে ইউটিউবে৷ সবসময়ই জটিল সব উপকরণ ও প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে তিনি অতি সাধারণ মাটির চুলায় অসাধারণ সব খাবার তৈরি করেন৷

রেসিপি অনুযায়ী খাবারের উপকরণ জোগাড় নয়, বরং উপকরণের ওপরই নির্ভর করে কী হবে তাঁর রান্না৷ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক নতুন নতুন রেসিপি উদ্ভাবনেও মাস্তানআম্মার জুড়ি মেলা ভার৷

অন্য কোনো কিছুই নেই, হয়ত আছে তরমুজ আর মুরগি৷ তাতে কি? হয়ে গেলো তরমুজ-মুরগি৷ এমন সব অদ্ভুত কিছু রান্নার তরিকাও জানা যাবে মাস্তানআম্মার কাছ থেকে৷

ছোটবেলা থেকেই দাদি মাস্তানআম্মার রান্না অনেক পছন্দ নাতি লক্ষ্মণ কারের৷ রান্নায় তাঁর পারদর্শীতার কথা লক্ষ্মণ ভুলে যাননি বড় হওয়ার পরেও৷ গণমাধ্যমে চাকরি করতে গিয়ে ইউটিউবে নানা চ্যানেল নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎই তাঁর মনে পড়ে দাদির কথা৷ তাঁরও কল্পনায় আসে দাদির সেইসব রান্নার কথা৷

তো নাতি লক্ষ্মণ একসময় ভাবলেন, দাদির এই রান্না নিয়েই তো একটা চ্যানেল খোলা যায়৷ ‘যা আছে কপালে’ ভেবে দিলেন ছেড়ে চাকরি৷ বন্ধু শ্রীনাথ রেড্ডিকে সাথে নিয়ে ২০১৬ সালে খুলে বসলেন দাদির রান্নার চ্যানেল৷ নাম দিলেন ‘কান্ট্রি ফুডস’৷

তবে এতটা সাফল্য হয়ত কল্পনাতেও আশা করেননি লক্ষ্মণ৷ একে তো রান্নার চমৎকার প্রক্রিয়া, তার ওপর মিষ্টি চেহারার মাস্তানআম্মার চ্যানেলটিতে খুব দ্রুতই বাড়তে থাকলো সাবস্ক্রাইবার৷

বাড়বে নাই বা কেন? ১০৬ বছরের কয়জন মানুষকেই বা এতো কর্মঠ দেখা যায়? তাও আবার ইউটিউবে! মাত্র এক বছরে চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে চার লাখ৷ প্রতি মুহূর্তেই হু হু করে বাড়ছে এই আকার৷ গেল মাসেই ভিডকন কনফারেন্সে মাস্তানআম্মাকে সবচেয়ে বেশি বয়সি ইউটিউবারের মর্যাদা দিয়েছে খোদ ইউটিউব কর্তৃপক্ষ৷

লক্ষ্মণ কারের পরবর্তী লক্ষ্য মাস্তানআম্মার আদলে পরিবার ও বাচ্চাদের জন্য অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করা৷

Leave a Reply