পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।’
রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘আমরা আশাবাদী যে, শেষ পর্যন্ত ভোটারদের উপস্থিতি থাকবে এবং আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ করতে পারব’- বলেন আইজিপি।
‘রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর দেশের কয়েকটি স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলার পর দুটি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। একই ভাবে ময়মনসিংহের একটি কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলা করে অস্ত্র লুট করা হয়েছে। ভৈরবে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশের অস্ত্র লুটের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি’- বলেও জানান তিনি।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামালের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগ নেই যে, ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ওপর হামলা কিংবা তাদের বের করে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের এজেন্টরা কেন্দ্রে আসেন তাদের নিজ দায়িত্বে। কেন্দ্রে যারা আসছেন তাদের সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা আসেননি তাদের তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে সুরক্ষা দেয়া যায় না।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট দেয়ার পর ড. কামাল অভিযোগ করেন, ‘সারাদেশ থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ফোন দিয়ে জানাচ্ছেন তাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’
গ্রেফতার ও হয়রানি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বলেন, ‘কোনো পোলিং এজেন্ট বা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গ্রেফতার করছে না। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা একাধিক মামলা বা বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত।’
ফেসবুকে গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে ‘গুজবে কান না দিয়ে দেশবাসীকে শান্ত থাকার’ আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ আসছে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন ইউনিট গুজবকারীদের গ্রেফতার ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার বা জব্দ করছে।’
ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রের কোথায় এবং কতটুকু দায়িত্ব পালন করবেন, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের (সাংবাদিক) দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ বা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি যদি বাধা দেয় তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা দেখব এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ভোটগ্রহণ পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি যে, ভোট গণনা ও ফালাফল ঘোষণার পর সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যায়। সংঘর্ষ মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’ (জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
৩০ ডিসেম্বর,২০১৮
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur