২৮ এপ্রিল ২০২৫ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধী নবগ্রাম রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে অভিযুক্ত আসামী মো. আব্দুল কাদের (৩৮), পিতা-মৃত সামসুল হক,সাং-নবগ্রাম পূর্বপাড়া,থানা- চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা,মেহেদী হাওলাদার ওরফে মঈন (২২), পিতা-শাহজাহান হাওলাদার, সাং-শহীদ স্মৃতি আবুল সড়ক,থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনা, এ/পি সাং- নবগ্রাম রাস্তার মাথা, নোয়াপাড়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা, মো. আরিফ (৩১), পিতা- মো. হাফিজ, সাং-লক্ষীপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা- কুমিল্লা এবং সিয়াম হোসেন ওরফে শান্ত (১৯), পিতা-ওহায়েদ আলী, সাং- নোয়াপাড়া, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা’ ’দেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ১৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
২৮ এপ্রিল ২০২৫ মাহমুদুল হাসান,লে.কমান্ডার, পিপিএম-সেবা উপ-পরিচালক, কোম্পানী অধিনায়ক , র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর প্রেরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে ।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক বা ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে।
বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেলগুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে সেবন করে। মাদকসেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়- যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন -১১,৫ আগস্ট ২০২৪ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ৭২ জন গ্রেফতার, আরসা সদস্য-১৫ জন গ্রেফতার, হত্যা মামলায় ১০৫ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৪৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ১৩ জন গ্রেফতারসহ ৮৫ টি অস্ত্র, ১ হাজার ২ শ ৮৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ২শ ৫৯ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। পাশাপাশি ৪২ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৩৪ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৫৫ জন, জেল পলাতক ৩৬ জনসহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ২ শ ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রেস রিলিজ
চাঁদপুর টাইমস
২৮ এপ্রিল ২০২৫
এজি