Home / চাঁদপুর / হঠাৎ হাজির একদল শিশু, অতঃপর…
হঠাৎ হাজির একদল শিশু, অতঃপর...

হঠাৎ হাজির একদল শিশু, অতঃপর…

বর্ণাঢ্য, বর্ণিল, একান্ত আড্ডা প্রভৃতি নানা আয়োজনে গতকাল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হয়েছে।

এ দিনেই অন্য ধরনের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পরিষদে অফিস করছিলেন তিনি।

এ সময় হঠাৎ তার কক্ষে হাজির হন একদল শিশু। তারা সবাই চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের বাসিন্দা। সবাই বাবা হারানো এতিম শিশু। তাদের ভাষায় তারা তাদের ‘বাবা’কে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে।

নিজ অফিসে শিশুদের মুখে একবাক্যে ‘বাবা’ ডাক শুনে আবেগাপ্লত হয়ে পড়েন আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী। বিস্কুট, চানাচুর আর চা দিয়ে আপ্যায়িত করেন তার সন্তানতুল্য শিশুদের।

জানতে চান তাদের হঠাৎ অফিসে আগমনের কারণ। তারা জানায়, বাবার সাথে ভালোবাসা দিবসের ভালোবাসা শেয়ার করতে এসেছে তারা।

তাদের এই কথায় আরো বেশি আবেগাপ্লুত হন তাদের ওচমান গনি পাটওয়ারী। জানতে চান, এই দিনে বাবার কাছে তাদের চাওয়া কি। সমস্বরে উত্তর আসে জেলা পরিষদ আঙ্গিনায় ফুটে থাকা ফুল থেকে একটা করে ফুল নিতে চান।

অন্য কাউকে ফুল তোলার অনুমতি না দিলেও ‘বাবা’ তাদের না করতে পারেননি। ফুল নিয়ে আবারো চেয়ারম্যানের কক্ষে শিশুরা। এবার সেই ফুল বাবাকে তুলে দিয়ে পরম মমতার আন্তরিক বহিঃপ্রকাশ করেছে তারা।

কিছু সময় এসব শিশুর সাথে একান্ত আড্ডায় মেতে উঠেন আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী। এক সময় তাদের বিদায় জানান।

বিদায়ের প্রাক্কালে ওচমান গনি পাটওয়ারী কিছু টাকা উপহার দিতে চাইলেন শিশুদের। কিন্তু এই ভালোবাসার দিবসে টাকা নিতে জোরালো আপত্তি তাদের।

সমস্বরে তাদের জবাব, ‘না, না, আমরা শুধু তোমার সাথে দেখা করতে এসেছি।’

খবর পেয়ে শেষ বিকেলে আরেক দল শিশুও ছুটে আসে তাদের ‘বাবা’র কাছে। একইভাবে তাদের আপ্যায়িত করে বিদায় দেন জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই জনপ্রতিনিধি।

জেলা পরিষদে আসা শিশুদের মধ্যে ছালমা খাতুন (১১) বলেন, আমরা আজ ভালোবাসা দিবসে আমাদের বাবাকে উইশ করতে এসেছি। বাবা আমাদের ফুল নেয়ার অনুমতি দেয়ায় আমরা খুশি। বাবার অফিসে খেয়ে খুব ভালো লাগবো। বাবার অফিসটা অনেক সুন্দর। আমরা মাঝে মাঝে এখানে আসবো।

শিশুদের এ আকস্মিক আগমনে দারুণ আনন্দিত আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, আমি সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সারপ্রাইজ ভিজিট করি প্রকৃত অবস্থা দেখার জন্য। কিন্তু আজ শিশুরা আমার অফিসে এসে আমাকেই চরমভাবে সারপ্রাইজ দিয়েছে। তাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আগমন এবং আমার প্রতি তাদের এই আস্থার প্রতিদান আমি কিভাবে দেবো জানি না। তবে কথা দিচ্ছি- আমি যতোদিন বেঁচে থাকবো তাদের পাশেই থাকবো।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০২: ৫০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply