Home / শীর্ষ সংবাদ / মেঘনা-ডাকাতিয়ায় রাতে সক্রিয় কালোবাজারী : পাচার হচ্ছে নানা পণ্য
মেঘনা-ডাকাতিয়ায় রাতে সক্রিয় কালোবাজারী : পাচার হচ্ছে নানা পণ্য

মেঘনা-ডাকাতিয়ায় রাতে সক্রিয় কালোবাজারী : পাচার হচ্ছে নানা পণ্য

চাঁদপরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে চোরাচালান বন্ধ হয়নি। নতুন করে নদীর কালোবাজারী চোরাকারবারিরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

এরা মেঘনা ও ডাকাতিয়ায় চলাচলরত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্গো-কোস্টার ও ট্যাঙ্কার সব বিভিন্ন প্রকার নৌযান থেকে সার, গম, চিনি, সরিষা, জ্বালানি এবং ভোজ্য তেলসহ বিভিন্ন পণ্য পাচার করছে।

আর এসব কাজে জড়িত জেলার চিহ্নিত বেশ ক’জন চোরাকারবারির। চিহ্নিত এসব চোরা কারবারিরা সম্পূর্ণ পর্দার আড়ালে থেকেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এসব ব্যাবসা পরিচালিত করে থাকে। তবে মাঝে মধ্যে কেস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের অভিযানে চেরাইকৃত এসব পণ্য আটক হলেও চোরাচালানের সাথে জড়িত মূল হোতাদের আটক করতে দেখা যায়নি।

এদিকে গত ৬ সেম্পেম্বর চাঁদপুর নদী বন্দর এলাকা থেকে ৩৫ বস্তা চোরাই ইউরিয়া ও পটাশ সার জব্দ করে পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফাঁড়ি পুলিশ ভূঁইয়ার ঘাটে মায়ের দোয়া নামে একটি ট্রলার থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সারের মালিক পাওয়া যায় নি। মাঝি মাল্লাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ দেখিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরাণবাজারে বেশ ক’জন ব্যবসায়ী জানায় পুলিশ কতৃক জব্দকৃত চোরাই সার রক্ষায় একটি মহল কাজ করেছে। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ বন্ধ করতেও তৎপর ছিলো একটি মহল।

একটি সূত্রে জানা গেছে, নদী পথে সারের চালান সরবরাহের সময় জাহাজ থেকে চোরাকারবারীরা এই সার নামিয়ে আনে এবং গোপনে বিক্রি করে দেয়। বহু বছর ধরেই চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজ, ট্রলার থেকে সার, চিনি, ভোজ্য তেল, ডিজেল পেট্রোলসহ বিভিন্ন পণ্যের চোরাচালান অহরহ হচ্ছে। সড়ক পথে বিভিন্নভাবে কারসাজি এবং ছিনতাই হওয়া পণ্যও গোপনে ঢুকছে পুরাণবাজারে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, শহরের কোড়ালিয়া চর এলাকা, যমুনা রোড, পাইলট হাউজ, বড় স্টেশন মোলহেড, কয়লা ঘাট, ৫নং ঘাট, কসাইখানা এলাকা গুলোই চোরাকারবারিদের নিরাপদ আস্তানা। এসব চোরাকারবারিদের শ্রমিকরা রাতের আধারে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলার নিয়ে কোস্টগার্ডের টহলকে ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলাচলরত কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকার থেকে পূর্বে চুক্তি অনুযায়ী এসব পণ্য নামিয়ে নদী থেকেই বিভিন্ন মোকামে চালান করে দেয়।

কখনো কখনো আবার কিছু পরিমাণ জ্বালানি তেল পুরাণবাজার ও কয়লা ঘাটের বেস কিছু ব্যাবসায়ির কাছে বিক্রি করে থাকে। কোষ্টগার্ড সদস্যদের হত থেকে বাঁচতে এরা অভিনব পন্থা অবলম্বন করে সোর্সের সহযোগিতা নিয়ে থাকে।

এসব সোর্সের কাজ হলো কোস্টগাড কিংবা নৌ-পুলিশ কখন ¯িপ্রট বোট নিয়ে টহলে নামে। তাৎক্ষণিক তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সে খবর চোরাকারবারিদের কানে দেয়া।

নদীর পাড়ের চিহ্নিত এলাকায় গুলোয় এসব কালোবাজারিদের আনাগোনা সবসময় দেখা যায়।

আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ ৭: ৪০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply