Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলব উত্তরে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
Dead-Lash-Khun-

মতলব উত্তরে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীর (গৃহবধু) গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিরবার (১৫ জুলাই) বিকেলে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিনগত রাতে উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের কন্দু সরকারের কান্দি গ্রামে বসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূ কাতার প্রবাসী মোঃ আলমগীর হোসেন প্রধানের স্ত্রী রেখা আক্তার (২০)।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল হক, ওসি তদন্ত আলমগীর হোসেন, এসআই মোঃ শাহজাহান কামাল এএসআই সুফলসহ সঙ্গীয় ফোর্স শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে।

মতলব উত্তর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ রেখা আক্তার মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার কয়েদিয়া ইউনিয়নের চর আলিমাবাদ গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের মেয়ে। তারা ২ ভাই বোন। রেখা ঢাকার মিরপুরে থাকতো। সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাধে মতলব উত্তরের আলমগীর প্রধান ঢাকার মিরপুরে টাইলস মেস্ত্রীর কাজ করতো। সেখানেই তাদের মধ্যে পরিচয় ও বিয়ে।

বিয়ের চার-মাস পর তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ৬ মাস পর আবার দুজনের উভয়ের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে রেখা এবং আলমগীরে সাথে সামাজিকভাবে আবারো বিয়ে সম্পন্ন হয়। তার পর থেকে রেখা আক্তার গার্মেন্টস এর চাকরি ছেড়ে স্বামীর গ্রামের বাড়ি মতলব উত্তরে চলে আসে। গত তিন-চার মাস আগে তার স্বামী কাতার চলে যান। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর শ্বশুর শ্বাশুরিদের সাথে গ্রামের বাড়িতেই থাকেন রেখা।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, ‘পারিবারিক কলহের জের ধরে এ গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে আসল ঘটনার জানা যাবে।

খান মোহাম্মদ কামাল
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৫০ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply