Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / মতলবে সিএনজি মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি
cng stand

মতলবে সিএনজি মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি

মতলব ফেরীঘাটের উত্তর পার্শ্বে সিএনজি-অটোরিক্সা মালিক সমিতির নামে ব্যাপক হারে চলছে চাঁদাবাজি। ফলে প্রভাব পড়ছে সাধারণ যাত্রীদের ওপর।

গত ২ দিন এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ফেরীঘাট সংলগ্ন বালুর মাঠে সিএনজি অটোরিক্সা ষ্টেশন। একাধিক অটোরিক্সা চালক জানান, মতলব ফেরীঘাট থেকে শ্রীরায়ের চর-মতলব-কালীপুর-ছেঙ্গারচর বাজার পর্যন্ত অন্তত চারটি রুটে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে।

প্রতি ঘাটে প্রতিনিয়ত তাদের চাঁদার টাকা গুনতে হয়। প্রতিদিন একেকজন অটোরিক্সা চালক অন্তত ৯০ টাকা চাঁদা দিতে হয় মালিক সমিতিকে।

জানা যায়, ফেরীঘাটে ২০ টাকা, এনায়েতনগর সাহেব বাজারে ১৫ টাকা, সুজাতপুর বাজারে ১০ টাকা, হরিণা মোড়ে ১০ টাকা, শ্রীরায়েরচরে ২০ টাকা হারে চাঁদা প্রদান করে থাকেন চালকরা। এছাড়া আরো তিনটি রুটে একই হারে চাঁদা প্রদান করতে হয় চালকদের। কি কারণে চাঁদা দিচ্ছেন তারা তা জানেন না।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি হযরত আলী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমার জানামতে চাঁদা নিচ্ছে মালিক সমিতির লোকজন। শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিদিন গাড়ি প্রতি ১০ টাকা চাঁদা নিয়ে থাকে রিসিটের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণ ফান্ডের জন্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ টাকা দিয়ে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা করা হয়। কোন দুর্ঘটনায় মারা গেলে তার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা নগদ অনুদান দেওয়া হয়। এবং এ টাকা থেকে শ্রমিকদের বাৎসরিক বিভিন্ন আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়।’

তিনি আরো জানান, ‘মাত্র ১০ টাকা চাঁদা নিয়ে শ্রমিকদের জন্য কিছুই করা যায় না। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে আমি সংগঠন পরিচালনা করে আসছি।’
চাঁদাবাজির ব্যাপারে কথা বলার জন্য মালিক সমিতির কাউকে পাওয়া যায়নি।

তবে ফেরীঘাটের লাইনম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি করিনা, শুধু জায়গার ভাড়া হিসেবে প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে ২০ টাকা করে নেয়া হয়। আর কোথায় কি টাকা উঠানো হয় তা জানি না।’

চাঁদাবাজির ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘মতলব ফেরীঘাট ও শ্রীরায়েরচর থেকে চাঁদাবাজির কারণে কয়েকজন আটক করা হয়েছে। তাদের এ চাঁদাবাজি সম্পূর্ণ অবৈধ। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, ‘কে বা কারা চাঁদাবাজি করে, আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো ও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০০ এএম, ৩০ জুন ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply