Home / আন্তর্জাতিক / মমতা রাজি না,হাসিনা-মোদির তিস্তার পানি বণ্টন
মমতা রাজি না,হাসিনা-মোদির তিস্তার পানি বণ্টন

মমতা রাজি না,হাসিনা-মোদির তিস্তার পানি বণ্টন

হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকে রফা হবে তিস্তার পানি বণ্টন। ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ-ভারত প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির রূপরেখা ও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। যেটা হবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজি করাতে পারলে। আর তা না হলে কেন্দ্র এককভাবে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।

দিল্লি এর আগে চাইছিল না মমতাকে বাদ দিয়ে কিছু করতে। এজন্য তাকে ঢের সময় দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মনোভাব বুঝতে পেরে মমতা এখন অনেকটাই নরম। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও এজন্য উদ্যোগী হয়েছেন। শেখ হাসিনার সম্মানে তিনি যে ভোজ আয়োজন করেছেন সেখানে যেন অতি অবশ্যই যোগ দেন মমতা, ফোনে এমন অনুরোধ রাষ্ট্রপতির। মমতা যোগ দিলে বহু সময় পর সামনা-সামনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবাংলাদেশও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। শীর্ষ কূটনীতিকরা দফায় দফায় মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দিল্লিতে যেতে অনুরোধ করছেন। মমতা নিমরাজি।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হবে বলে আশা ছিলো। চুক্তি সম্ভব না হওয়ায় ভারতের পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই এ চুক্তি বাস্তবায়ন হবে বলেই আশ্বস্ত করা হয় তখন। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকায় ফিরতি সফরে আসার আগেই প্রায় চূড়ান্তও হয়েছিল তিস্তা চুক্তি। কিন্তু সফরের ঠিক আগের দিন এ চুক্তির বিষয়ে জোর আপত্তি জানান মমতা। নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন সফরসঙ্গীর তালিকা থেকে।

সে দফায় কিছুটা হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। আশা ছিলো বর্তমান ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে আলোর মুখ দেখবে এ চুক্তি। কাছাকাছি সময়ে মমতাও বাংলাদেশ সফর করেন। কিন্তু তিস্তা থেকে যায় সেই অন্ধকারে। তবে মমতা সেসময় তার উপর আস্থা রাখতে বলেছিলেন তিস্তা ইস্যুতে। তারপর আরও একটি বছর কেটে গেলেও তিস্তার পানিবণ্টন ইস্যু থেমে আছে সেই আগের জায়গায়।

এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফিরতি ভারত সফরে তিস্তা নিয়ে ইতিবাচক কিছু হবে বলেই আশা সংশ্লিষ্টদের। যেকোনো মূল্যে এ সফরে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করতে কলকাতার পাশাপাশি দিল্লিতেও সমানতালে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। মমতার দরবার নবান্নে ছুটছেন কূটনীতিকরা। দিল্লীর কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকেও চলছে দৌড়ঝাঁপ।

ভারতের পাহাড় অধ্যুষিত সিকিম ও দার্জিলিংয়ের ভেতর দিয়ে জলপাইগুড়ি এসে বাংলাদেশের লালমনিরহাট দিয়ে তিস্তা ঢুকেছে বাংলাদেশে। উত্তর‍াঞ্চলের লাখ লাখ হেক্টর কৃষিজমির জন্য এ নদীর উপর নির্ভরশীলতা সবচেয়ে বেশি। তিস্তা নিয়ে মমতার নরম সুর আর দিল্লির আস্থায় ইতিবাচক ফলই প্রত্যাশিত।

সাতবছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে ভারত যাচ্ছেন ৭ এপ্রিল। ৮ এপ্রিল দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে শীর্ষ বৈঠক করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ওই দিনই এক অনুষ্ঠানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেবেন শেখ হাসিনা। সূত্র- বাংলানিউজ

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময়০১:০৫ এ.এম, ০৫ এপ্রিল ২০১৭,বুধবার
ইব্রাহীম জুয়েল

Leave a Reply