চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং ইউনিয়নে রোগী সেজে ভূয়া কবিরাজকে আটক করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন। শনিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার হরিপুর এলাকার গন্ধব্যপুর গ্রামের মারজানা বেগম নামের এক কবিরাজসহ হাওয়া নামক ভূয়া নারী জ¦ীনকে আটক করা হয়। আটক নারী কবিরাজ ওই গ্রামেন মফিজুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, হাওয়া নামক এক জ্বীনসহ আরো অনেক মহিলা জ্বীনের সহায়তা নিয়ে মারজানা নামক এক নারী ভূয়া নারী কবিরাজ সহজ সরল, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নারীদেরকে কবিরাজির চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছে বছরের পর বছর।
তাকে গ্রেফতার করার সময় অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী অপেক্ষমান ছিল। যাদের মাথা ব্যথা, সন্তান না হওয়া, সোনার হার চুরি উদ্ধার, বেপরোয়া স্বামি বশীকরন, জমি সংক্রান্ত সমস্যা, দাম্পত্য কলহ ইত্যাদি সমস্যা দূর করার করে থাকেন বলে জানায় পুলিশ। রোগীরা জ্বীনের উপঢৌকন হিসেবে আনে জিলাপি ও মিষ্টি।
এ বিষয়ে অতিরক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন জানান, হাজীগঞ্জে আটক ভূয়া কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরে মানুষের প্রতারণা করে আসছে। আটক মারাজানার শিক্ষাগত কোন যোগ্যতা নেই। জটিলসব চিকিৎসা হিসেবে পানি পড়া তেলপড়া দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। দিনে অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ রোগী দেখেন। যার নেপথ্যে আছে তার স্বামী। নির্দিষ্ট সময়ে মারজানা তার ভৌতিক চেম্বারে প্রবেশ করলে মহিলা জ্বীনরা তার উপর নাজিল হয়। তারপর যা করার জ্বীনরাই করে। এরকম রূপকথার গল্প শুনিয়ে মানুষকে ভুল ভুজিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলো। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম, ২৭ জুলাই ২০১৯