চাঁদপুর যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণে শত শত বেকার স্বাবলম্বী হচ্ছে। সমাজে নিজকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে পেরেছে। তাই প্রতি বছরের ন্যায় চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ২০১৯-’২০ অর্থবছরেও জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.সামছুজ্জামান সোমবার (১৯আগস্ট) চাঁদপুর টাইমসকে বিষয়টি জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে,চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর চাঁদপুরে ৮ টি বিষয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বেকার যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ কোর্স গ্রহণ করেছে। প্রতিটি কোর্স যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকগণ দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে।
এ গুলোর মধ্যে রয়েছে- গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ যা ৩ মাসের ২ টি ও ১ মাস ব্যাপি ১ টি,কম্পিউটার বেসিক কোর্স ৬ মাস ব্যাপি প্রশিক্ষণে ৭০ জন করে ২ টি, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাইজ ওয়্যারিং প্রশিক্ষণে ৬০ জন করে ৬ মাসের ২টি, পোশাক তৈরি প্রশিক্ষণ কোর্সে ২৫ জন করে বছরে ৪টি, মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণে ১ মাস ব্যাপি ১০টি, ফ্রিল্যান্সিং ২০ জন করে ৩টি ও ন্যাশাল সার্ভিস ৩ মাসের ২ টি কোর্স পরিচালনা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.সামছুজ্জামান উপ-পরিচালক মো.সামছুজ্জামান বলেন, ‘বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে সরকারের এ বিভাগ বেশ ক’টি কোর্স পরিচালনা করতে নির্দেশ রয়েছে। শুধু তাই নয়-চাঁদপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্মসংস্থান ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত একজন বেকারকে ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ঋণ পেতে সহাযতা করে ।’
তিনি আরো বলেন, ‘ চাঁদপুরের সকল উপজেলায় শত শত বেকার যুক-যুবতী কোর্সগুলো থেকে কোনো না কোনো প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের বেকারত্ব ঘুচাতে পেরেছে। এ সংস্থা প্রদত্ত ন্যাশাল সার্ভিস কোর্স সম্পন্ন করে এ পর্যন্ত ৩ ,২৭৩ জনের মধ্যে ৩,০০৭ জন চাকরি করছে।’
প্রতিবেদনে : আবদুল গনি
২১ আগস্ট ২০১৯