মতলব দক্ষিণ

মতলবে মাথা বিচ্ছিন্ন করে কাঠমিস্ত্রি হত্যা মামলায় দু’আসামি ৫দিনের রিমান্ডে

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে উপজেলায় পেয়ারীখোলা গ্রামে কাঠমিস্ত্রি সোহেল রানা (১৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটককৃত ফরহাদ হোসেন ওরফে খলু ও মো. রুবেলকে গতকাল বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করা হয় কাঠ মিস্ত্রি সোহেল রানাকে। এ ঘটনায় সোহেলের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোহেল রানা উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের জমির হোসেন প্রধানের ছেলে।

সোহেল ঢাকায় একটি আসবাবের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করত। এর আগে এলাকায় অটোরিকশা চালাতো সে। গত ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসে সে। ১৮ আগস্ট রাতে তার মামার দেওয়া ১৫ হাজার টাকা দামের একটি মুঠোফোনের সেট নিয়ে বাড়ি থেকে পাশের বাড়িতে একটি গানের অনুষ্ঠানে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। সোমবার দুপুরে ওই গ্রামের (পেয়ারীখোলা) একটি পুকুরের পাড় থেকে তাঁর মাথাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, গত ১৮ আগস্ট উপজেলার পেয়ারীখোলা গ্রামের কাঠমিস্ত্রি সোহেল রানাকে (১৭) জবাই করে হত্যা করে তার মাথা পুকুরের কচুরীপনার নিচে লুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। গত ১৯ আগস্ট সোহেলের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি পেয়ারীখোলা গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন ওরফে খলুকে গত ১৯ আগস্ট এবং গত ২০ আগস্ট মো. রুবেলকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পুলিশের কাছে এ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তবে গত ২১ আগস্ট তাঁদের (ফরহাদ ও রুবেল) চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা এ হত্যাকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। ফরহাদ ও রুবেলকে হত্যাকান্ডটির বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে পুনরায় চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত তাঁদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে থাকা ফরহাদ ও রুবেলকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। পাঁচ দিন পর তাঁদের ফের ওই বিজ্ঞ হাকিমের আদালতে হাজির করা হবে।

এর আগে গত রোববার সোহেল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মেহেদী হাসান চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখান থেকে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত শনিবার রাতে সোহেল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে উপজেলার পেয়ারীখোলা গ্রামে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক, ২৮ আগস্ট ২০১৯

Share