চাঁদপুর

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে চাঁদপুরে বৃষ্টি

তেড়ে আসছে ‘ফণী’। প্রস্তুত চাঁদপুরের আট উপজেলা। চাঁদপুরে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত পড়েছে। আজ (৩ মে) সকাল থেকে আকাশে সূর্য়ের দেখা মিলেনি। আকাশে জমছে খন্ড খন্ড মেঘ। সকালে সাড়ে নয়টায় প্রবল বৃষ্টি হয়ে গেছে। এখনোে আকাশে জমে আছে মেঘ সাথে রয়েছে মৃদু বাতাস।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা এবং ত্রাণ বিভাগের সকল কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ চাঁদপুরে প্রস্তুত রয়েছে ৩১১ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক,কলেজ ও মাদ্রাসা ভবনসমূহ (১৪৫০টি) আশ্রয় কেন্দ্র।

এদিকে আশংকা দেখা দিয়েছে উন্নয়ন কাজের। প্রখর খরতাপে জেলা প্রায় কিলো মিটার সড়ক পাকা করণের কাজ চলছে। ফোণীর প্রভাবে ওইসব সড়কের ভিটমিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মজিবুর রহমান।

তবে তিনি বলেছেন, চলতি বছরের বরাদ্দকৃত প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন ৪০ ভাগ রয়েছে। ফোণীর প্রভাবে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা বলা যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাত আমিন পাটওয়ারী বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১০ কিলো মিটার সড়কের কাজ চলমান। ফোণীর প্রভাবে সড়কের ভিটমিন নষ্ট হলে সড়ক পাকাকরণ মেজবুত হবে না। এতে করে ক্ষতি হবার আশংকা রয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। নদী উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জ রূটের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডাব্লিউ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিআইডাব্লিউটিএ’র চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির আশঙ্কায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সারাদেশের লঞ্চ ও নৌ-যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি এবং চাঁদপুর থেকে সকল নৌ-যান চলচল বন্ধ ঘোষনা করি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চসহ সকল নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি আরো জানান, বন্ধ ঘোষণার পূর্বে চাঁদপুর থেকে সিডিউল অনুযায়ী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ছেড়ে গেছে। কিন্তু দুপুর ১২টার পর থেকে সিডিউলের সকল লঞ্চ বন্ধ রয়েছে।

হাজীগঞ্জ পৌরসভা মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলা লক্ষ্যে আমাদের সচেতনতা ও পূর্ব প্রস্তুতি রাখা /গ্রহণ করা অবশ্যক। তাই দুর্যোগের আবাস দেখা দিলে নিকটস্থ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে তথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা উচ্চ বিদ্যালয় চলে যাওয়া এবং জরুরী হিসেবে কিছু শুকনো খাবার, যেমন চিড়া-মুড়ি নিরাপদ খাবার পানি ও স্যালাইন সঙ্গে রাখা যেতে পারে। আসন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদেরকে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন থাকা ও পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় ফোনি মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলা সদরসহ সকল উপজেলা প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে আমরা প্রশাসনের সকলকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছি। আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।

প্রতিবেদক:মনিরুজ্জামান বাবলু
৩ মে ২০১৯

Share