জাতীয়

৭ নং বিপদ সংকেত : সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পয়রা সমুদ্রবন্দর এলাকা থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর আশঙ্কায় ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়।

নৌযান বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালের নৌযান পরিদর্শক শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘দুপুর ১২টা থেকে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলসহ কয়েকটি রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। আজ শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, কাল সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর অঞ্চল। তবে কক্সবাজার থাকবে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতের আওতার মধ্যে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র আজ সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনটিতেও দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরি সভা করেছে। দুর্যোগ-পরবর্তী চিকিৎসাসেবার জন্য মেডিকেল টিম গঠনসহ দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে উপকূলীয় জেলা প্রশাসনগুলো।

বার্তা কক্ষ, ৮ নভেম্বর ২০১৯

Share