ফিচার

দারিদ্র্যতা রুখে দিতে জেগে উঠুক মানবতা

আমাদের সকলের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই পারে একজন দুঃখ ভারাক্রান্ত মানুষের মুখে সুন্দর হাঁসি ফুটাতে। আমাদের চারপাশে একটু খোজ খবর নিলে পাওয়া যাবে অসংখ্য মানুষের দুঃখ বেদনাভরা জীবনের বাস্তবচিত্র। তাদের পাশে যদি নাই দাড়াতে পারলাম তাহলে আমরা কিসের আশরাফুল মাখলুকাত!

আমরা অর্থশালী ব্যক্তিরা আজ মার্কেটিং নিয়ে ব্যস্ত!! কার থেকে কে অধিক দামী পোশাক কিনবে। ঈদকে সামনে রেখে কত রকম বাহারী খাবারের আয়োজন চলছে।

পক্ষান্তরের আমাদেরই ঘরের পাশে অসংখ্য পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের দু বেলা পেট পুরে খাবার জুটাতে পারবে কিনা সে চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। সন্তানের নতুন জামা কিনে দেওয়ার বায়না কিভাবে পূরণ করবে সে জল্পনা কল্পনায় দিন-রাত কাটাচ্ছে!

তারই বাস্তব কিছু চিত্র আজ চোঁখে পড়লেঅ চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুর থেকে চাঁদপুরে আসার পথে। পথের ধারে, রাস্তার পাশে কয়েকজন দারিদ্র সন্তানদের পিতাকে দেখলাম অচেনা অজানা পৃথিবীর পানে তাকিয়ে আছে। চোঁখের দিকে তাকিয়ে আন্দাজ করলাম, হয়তো কাজ নেই, ঘরে ছোট্ট শিশুটিকে কিভাবে নতুন জামা কিনে দিবে, কিভাবে একমুঠো ভালো খাবার জোগাড় করবে, সে চিন্তায় তাকে ঘিরে রেখেছে।

সে গ্রাম অঞ্চল থেকে আসতে আসতে এরকম আরো কয়েকজনকে চোঁখে পরলো মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো। কিছু সময় পর শহরে চলে আসলাম, এখানে একদম ভিন্নচিত্র। শপিংমলগুলো তিল ধারনের ঠাঁই নেই। কে কোনটা কার আগে কিনবে এমন ব্যস্ততাই দেখা যাচ্ছে।

হিসেব মিলাতে পারলাম না। গরীব অসহায় মানুষগুলো দিন দিন আরো অসহায় হচ্ছে, আর বিত্তশালীদের বিত্তের ভান্ডার দিন দিন কয়েকশ গুণ বেড়ে, আংগুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। আমরা কী পারিনা এ বৈষম্য দূর করতে?

লেখক- মো. রবিউল আউয়াল
সহকারী প্রধান শিক্ষক,
ইউনাইটেড মর্ডান হাইস্কুল,
চাঁদপুর।

Share