সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন । শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে ভোটের সব প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএম। ভোটের পরের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। র্যাবের ২০টি ইউনিট, পুলিশ ও আনসারের ৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় থাকবেন ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়,এ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন। নির্বাচনে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরা হলেন, জাতীয়পার্টি মনোনীত রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ (লাঙ্গল), বিএনপির রিটা রহমান (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটরগাড়ি), এনপিপির শফিউল আলম (আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) এবং গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ বায়েজীদ (মাছ)।
উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন জানান, ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রে ১৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ২৩ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, ২ হাজার ৪৬ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। ইভিএম পদ্ধতিতে ১৭৫টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৩টি গোপনকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকি ১০২টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া স্বাক্ষরিত ১৬ জুলাই রংপুর-৩ আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন। ১ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়েছিল ইসি। ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বার্তা কক্ষ, ৫ অক্টোবর ২০১৯