আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে আবারও রণক্ষেত্র পরিনত হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া বাজার। শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তুমুল সংঘর্ষে বাজারের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে একাধিক দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও ৪ জন পুলিশ সদস্য সহ উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে বহরিয়া বাজারের রাস্তার ওপর মোটর সাইকেল নিয়ে ইউপি চেয়ারমান সেলিম খানের বড় ছেলে শান্ত (১৬) এর সাথে পূর্ব শত্রূতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছলেমান মাঝিরছেলে সাগরের কথাকাটি হয়।
এই ঘটনার জের ধরেই সেখানে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।এবং একে অপরের উপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও ভাঙ্গা কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে।
খবর পাওয়ার সাথে সাথে চাঁদপুর মডেল থানা, ডিবি ও পুরাণবাজার ফাঁড়ি থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে বলে জানিয়েছেন পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন,পুলিশ খবর পাওয়ার সাথেসাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ প্রদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।’
প্রসঙ্গত,মাস খানেক আগেও এই ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত দুটি গ্রুপের মাঝে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছিলো।
স্টাফ করেসপন্ডেট