চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার নদী ভাংগন কিছুটা কমতির দিকে। জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজারেরও বেশি বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলার কারণে ওইস্থানে ভাংগন প্রবণতা স্থিতিশীল রয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে মেঘনা নদীর ভাংগন স্থানসহ আশপাশ দিয়ে প্রবল বেগে ¯্রােত প্রবাহিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরো ৫ হাজার বস্তা ফেলা হবে। পরবর্তী আশঙ্কার জন্য আরো ১০ হাজার প্রস্তুত থাকবে।
এ কারনে চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধেরর পুরাণবাজার অংশে প্রায় ৫শ’ মিটার এলাকা এখনো ভাংগন ঝুঁকিতে। এ তথ্য জানিয়েছেন শহর রক্ষাবাঁধেরর দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত (৩দিনে) হরিসভার ভাংগন স্থলে ১০ হাজার ১ শ’ ৪৫টি বালু বস্তা ডাম্পিং করা হয় বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তারা। এদিকে ভাংগনে ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবারকে জেলা প্রশাসন থেকে ২ ব্যান্ডল টেউটিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান দেশের বাহিরে থেকে চাঁদপুরে এসেই চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় ছুটে যান। তিনি ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্থ ও কাজের খোঁজ-খবর নেন।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ভাঙনের সাথে সাথেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পানিসম্পদক উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সচিব কবির আনোয়ার স্যার পরিদর্শন এসেছেন। তারাই যেই নির্দেশনা দিয়েছেন সেই মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা কানিজ ফাতেমান, জেলা আওয়মী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুলসহ আরো অনেকে।
এছাড়াও ভাঙনের খবর শোনার পর থেকে প্রতিনিয়ত সরোজমিনের উপস্থিত থেকে খোঁজ-খবর নেন জেলা আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
কাজের ঠিকাদার তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী বলেন, ভাঙনের সাথে সাথে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ভাঙনস্থানে ফেলা হয়েছে। আমরা ভাঙনরোধ করতে আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করছি। প্রতিদিন প্রায় ২শ’ শ্রমিক কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৯টার সময় হঠাৎ মেঘনার ভাংগনে হরিসভা মন্দির সম্মুখের শহর রক্ষার প্রায় ২শ’ মিটার ব্লক বাঁধ ভেঙ্গে ব্যবসায়ী মরণ সাহা ও শম্ভুনাথ মজুমদারের বাড়ি নদী গর্ভে চলে যায়। ভাংগনেরর ব্যাপকতায় ১৫টি বসতঘর ও ভিটে-মাটি এই ভাংগনে বিলীন হয়। ভাংগন আতঙ্কে আশপাশের আরো পঞ্চাশটি পরিবার তাদের ঘর খালি করে আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে বলে জানান স্থানিয়রা।
দিনরাত পরিশ্রম করে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছে পুরাণবাজার ফাঁড়ি, ডিবি, দমকল বাহিনী, সদর থানা ও পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যরা।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক, ৭ আগস্ট ২০১৯