চাঁদপুর

একটি ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভুল সংবাদ পরিবেশন

এই ছবিটা বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি মহোদয়ের চাঁদপুরের বাড়ি। গত আগস্ট মাসে তিনি নিজ হাতে বাসা ঝাড়ু দেয়ার এই ছবিটা ভাইরাল হয়েছিলো। যা নিয়ে অনেক অনলাইন পোর্টালে নিউজ হয়েছে।

নভেম্বর মাসেও দীপু মনি নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে নেতাকর্মীদের জন্য নিজ হাতে রান্না করার একটি ছবি একইভাবে ভাইরাল হয়েছিলো। ডা. দীপু মনি এমপি এমনই একজন মাটির মানুষ। সেটি তার সান্নিধ্যে যারা পেয়েছে তারাই ভালো করে বলতে পারবেন।

হঠাৎ করেই মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বেশকিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল (সংবাদ মাধ্যম) ডা. দীপু মনি এমপির সেই ঝাড়ু হাতে ছবিটি দিয়ে ভুল সংবাদ পরিবেশন করেছে।

এসব গণমাধ্যমে ড. দীপু মনির ঝাড়ু দেয়ার ছবিটি প্রসঙ্গে লিখেছে – মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ১ম কর্ম দিবসে ঝাড়ু দিয়ে তার নিজ অফিসকক্ষ পরিষ্কার করছেন। যা সত্যিই খুব দুঃখজনক।

আমি বিশ্বাস করি ডা: দীপু মনি এমপি এমন একজন মানুষ, যিনি মিথ্যাকে কখনোই প্রশ্রয় দেন না। ছবিটি দিয়ে যারাই সংবাদ করছেন, তারা হয়তো নিশ্চই না বুঝে ভুল মেসেজ পেয়ে করেছেন। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইলো…

দয়া করে সঠিক তথ্য না যেনে ভুল সংবাদ করবেন না। এতে ওই সংবাদ মাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।

গতকাল দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই ছবিটি। দীপু মনির অসংখ্য ভক্ত-সমর্থক ছবিটি শেয়ার করছেন, ভাসাচ্ছেন প্রশংসার জোয়ারে।

না বুঝেই কেউ কেউ বলেছেন – মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন প্রথম কার্সদিবসে অফিসে নিজেই দপ্তর পরিষ্কার করলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব নেওয়া মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তি ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন,

‘এভাবেই চাঁদপুর ও হাইমচর এলাকার মাদক বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস- নৈরাজ্য ও নানা ধরণের দুর্নীতি এবং অনিয়মের আবর্জনা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন চাঁদপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জয় বাংলা।’

তবে এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। অনেকের টাইমলাইন ও গ্রুপে পোস্ট করা ছবিটিতে পড়েছে অসংখ্য নেতিবাচক মন্তব্য।

কেউ কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সাজানো বলে বিদ্রুপও করেছেন।

কেউ বলেছেন- একজন শিক্ষামন্ত্রীকে ঝাড়ু কেন দিতে হবে অফিসে? তিনিতো পরিস্কার করবেন শিক্ষা বিভাগ। দপ্তরের ফ্লোর নয়।

ছবিটি নিয়ে নানা মুখরোচক পোস্টও করে ফেলেছেন অতি উৎসাহী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী। অথচ পুরো বিষয়টিই ছিল নিছক ভুল সংবাদ।

আর তাই উপরের মন্তব্যে থেকে বলতে পারি,এই যে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস দিন দিন সরে যাচ্ছে তার জন্য সংবাদ মাধ্যম বা সাংবাদিকরাই দায়ী।

যে কোনো একটি বিষয় সঠিকভাবে দেখা এবং যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য-উপাথ্য ব্যবহার করে তা সংবাদ মাধধ্যমে উপস্থান বা পরিবেশনের মাধ্য দিয়েই সেটি সংবাদ হয়ে উঠে।

আশা করি সংশ্লিষ্ট নিউজ পোর্টালগুলো ভুল সংবাদটা সংশোধন করবেন।

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম
০৯ জানুয়ারি,২০১৯

Share