চাঁদপুর

বৃষ্টিতে চাঁদপুরের সবজির বাজার উত্তাপ

এ সময়ে বর্ষাকালীন সবজি ওঠলেই বাজারে দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু বাজারের বর্তমান চিত্র ভিন্ন। স্বস্তিতে নেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। এবার অতি বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে এখন সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।

সম্প্রতি কিছু কিছু সবজির দাম দেড় থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছের দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। বাজার দরের এমন ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পড়েছেন সংকটে। পণ্য কিনতে গিয়ে ক্রেতারা আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছেন না।

বুধবার (২০ মার্চ) চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মোঃ মুন্না জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। সবজি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এখনও তেমন হয় নি বললেই চলে। এলাকার সবজির জন্যে ঢাকার মোকামের ওপর নির্ভর করতে হয়। মোকাম থেকে বেশি দামে কিনে আনতে হয়। আমরা কম লাভেই বিক্রি করে থাকি। তবে বুধবারের বৃষ্টিতে আরো দাম বাড়ার আশংকা রয়েছে। ক্রেতারা বলছে, ঘাটতি দেখা দিলেই মুনাফালোভীরা জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করে।

এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে বলে সবজির মূল্যও বাড়ছে। ক্ষুব্ধ সাধারন মানুষের অভিযোগ, কোন নিয়ন্ত্রন কিংবা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রতিদিনি পন্যের মূল্য বাড়াচ্ছে।

এদিকে কয়েকজন মাছ বিক্রেতা জানান, একসময় ফাল্গুন-চৈত্র মাসে সেচ দিয়ে পুকুর, ডোবা-নালা, খাল-বিলে ব্যাপকহারে মাছ ধরা পড়তো। এখন আর আগের মত খাল বিলের মাছ বেশী একটা দেখা যায় না। আর এখন চাষের মাছও বাজারে তেমন একটা আসছে না। অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না জেলেরা। তাই বাজারে আসছেনা নদীর মাছও। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে মাংসের দাম।

চাঁদপুরের কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, দুন্দুল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, লাল শাক ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, গোল আলু ১২ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বুধবার (২০ মার্চ) এর শিলা বৃষ্টিতে কৃষকদের চোখে মুখে নেমে আসে হতাশার ছায়া। বেড়ে যায় কষ্টের সীমা।

করেসপন্ডেট
২২ মার্চ,২০১৯

Share