চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি ছিল উটতলী খেয়াঘাটের উপর দিয়ে একটি ব্রিজ। স্বাধীনতার প্রায় ৪৮ বছর পর অবশেষে দুই পাড়ের মানুষ আলোর মূখ দেখতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নূরুল আমিন গত ১৯ অক্টোবর উটতলী ব্রিজের ডিজাইন উন্মোচন করেন এবং খেয়াঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আফরোজ, উপজেলা পৌকশলী জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীসহ দুই পাড়ের আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের অভিমতে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে শাহরাস্তির চিতশী পর্যন্ত এ ডাকাতিয়া নদীর উপর প্রায় সবগুলো ব্রিজ নির্মান হলেও জনগুরুত্বপূর্ণ উটতলী খেয়াঘাট ব্রিজটি এতো দেরীতে হলেও সু-খবরের কথা শুনে সত্যিই খুব আনন্দ লাগছে। আমরা চাই সরকার অচিরেই এ ব্রিজটির নির্মান কাজ সম্পন্ন করে দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার পথ সুগোম করবেন।
উল্লেখ্য, হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী উটতলী ও ফরিদগঞ্জের টোরামুন্সীর হাট এর মধ্যবর্তী ডাকাতিয়া নদী। আর এ নদীর উপর দিয়ে নৌকা যোগে দুই পাড়ের মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পারাপার হয়ে আসছে। আর এতে করে দুই পাড়ের মানুষ জনপ্রতি ৩ টাকা করে ইজারাদারকে ও ৫ টাকা করে নৌকার মাঝিকে নগদ টাকা দিয়ে পারাপার হতে হয়।
বিশেষ করে হাজীগঞ্জ অঞ্চলের অলিপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা উপারের মুন্সীর হাটে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে আশা-যাওয়ার সময় দৈনিক নগদ টাকা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়াও দুই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজারে আশা যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মালামাল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পারাপার হয়ে আসছে।
ভুক্তভোগী ও সরকার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ট্রেন্ডার পক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর পরই কাজ শুরু হয়ে আগামি দুই থেকে তিন বছর পর দুই উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ২২ অক্টোবর ২০১৯