১৮ মার্চ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষকে ভোট দানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন ওই আসনের শপথ না নেয়া বিএনপির সংসদ সদস্য আলহাজ মোশারফ হোসেন।
তিনি সাধারণ জনগণকে এ ধরনের আহ্বান জানাতে পারেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। একই সঙ্গে এই অপরাধে দণ্ডিত হয়ে এমপি মোশারফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
শনিবার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও রাস্তার মোড়ের দেয়ালে মোশারফের ছবি দিয়ে এই সাদাকালো পোস্টারটি দেখা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আলহাজ মোশারফ হোসেন বলেন, এটি আমার প্রতিপক্ষরা করেছে। আমি দলীয় নেতাকর্মীদের এই প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে আসতে এবং ভোট প্রদান না করার মৌখিক অনুরোধ জানিয়েছি এটি সত্য। তবে সাধারণ মানুষকে আমি নিষেধ করিনি। পোস্টারও আমি বের করিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলেকজান্ডারের জেল থেকে লেখা একটি চিঠি উপজেলার বিভিন্নস্থানে বিতরণ করা হয়। এতে ভোটারদের ভোট দিতে অনুরোধ জানানো হয়। এই চিঠিটি বিলি করার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ভোট দানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে পাল্টা পোস্টার লাগানো হয়েছে। দেয়ালে লাগানো এই পোস্টারে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে বিএনপির যেসব বহিষ্কৃত প্রার্থী ভোট করছেন তাদেরকে বিশ্বাস ঘাতক বলে অভিহিত করা হয়।
এদিকে পোস্টারিং নিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে হৈ-চৈ পড়ার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শপথ না নেয়া বিএনপির সংসদ সদস্য আলহাজ মোশারফ হোসেনের ছবি সম্বলিত প্রচারিত পোস্টারে লেখা রয়েছে, আওয়ামী বাকশাল সরকারের দালাল, দেশ মাতা বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি আন্দোলনে বাধা, ক্ষমতালোভী বিশ্বাস ঘাতক বিএনপি নেতা আলেকজান্ডার ও রাফি পান্নাকে ভোট দানে বিরত থাকার মাধ্যমে বর্জন করুন। ভোট বর্জনের ডাক শিরোনামের শেষে লেখা রয়েছে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে আলহাজ্ব মো. মোশারফ হোসেন, সংসদ সদস্য বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দলের নেতাকর্মী, সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
জানতে চাইলে উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এভাবে সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রদানে নিষেধ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি জানার পর তিনি তার কর্মকর্তা পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।
বার্তা কক্ষ
১৭ মার্চ,২০১৯