তিন বছর ধরে স্বামী প্রবাসে থাকলেও এরই মধ্যে স্ত্রী জন্ম দিলেন এক পুত্রসন্তান। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকাজুড়ে চলছে তোলপাড়। শনিবার কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত মমিন আলীর ছেলে বদিউল আলম কবিরাজ তাবিজ দেয়ার নামে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এক পুত্রসন্তান জন্ম দেন প্রবাসীর স্ত্রী। ওই প্রবাসীর স্ত্রীর তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। তার বড় মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী-সংসার ও সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবেই দিন কাটছিল। বেশ কিছুদিন আগে শাশুড়ির সঙ্গে টানাপোড়েন চলে। এই টানাপোড়েন থেকে রক্ষা পেতে বদিউল আলম কবিরাজের কাছে যাই। জানতে পারি বদিউল কবিরাজ তাবিজের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তাই বদিউল কবিরাজকে বিষয়টি জানালে সমস্যার সমাধান করবে বলে কথা দেয়।
গৃহবধূ আরও বলেন, একদিন তাবিজ দেয়ার কথা বলে লাকসাম পৌরসভার পশ্চিমগাঁও এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায় বদিউল কবিরাজ। ওখানে গেলে বদিউল কবিরাজ বলে এ ব্যাপারে তাবিজ দিলে অবশ্যই কুফুরির মাধ্যমে দিতে হবে। তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই বদিউল আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধর্ষণ করে। তারপর তাবিজ দিয়ে আমাকে বিদায় করে। মান-সম্মানের ভয়ে ওই সময় ব্যাপারটা আমি কারো কাছে প্রকাশ করিনি। কিন্তু এখন আমি কি করব।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ বলেন, বিষয়টি গ্রামবাসীর কাছে শুনেছি। ওই নারীকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেব। তবে এ নিয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
দৌলতপুর গ্রামের সালিসদার গোলাপ হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বদিউল আলম কবিরাজের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেনি। বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি।(জাগো নিউজ)
২৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৯