আগামি বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে অবৈতনিক শিক্ষার অধীন আসা ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি সরাসরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই এ শিক্ষা প্রকল্পের অধীনে আসবে।
এ কারণে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে উচ্চ হারে ফি নেয়া হয় সেসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ নীতি গ্রহণ করা হবে। তবে সেটি কী হবে, তা নির্ধারণে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রোববার ৬ অক্টোবর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অবৈতনিক শিক্ষা চালুর লক্ষ্যে কর্মপন্থা তৈরির জন্য এ বৈঠক আয়োজন করা হয়।
এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান এবং শিক্ষক নেতাবৃন্দ অংশ নেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.সোহরাব হোসাইন। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদও এতে অংশ নেন।
জানা গেছে, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা চালুর লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বাস্তবায়ন কৌশলপত্র তৈরি করেছে। অবৈতনিক শিক্ষার জন্য সরকারের দেয়া ফি প্রত্যেক স্কুল-মাদ্রাসা একই হারে টিউশন ফি নেবে। সে ফি’র অর্থ সরকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠাবে। শিক্ষার্থী তা স্কুলে জমা দেবে।
অথবা,ধার্য টিউশন ফি সরকার সরাসরি প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে। তবে এ দু’বিকল্পের মধ্যে রোববারের বৈঠকে শেষ বিকল্পটি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ৩৫ টাকা করে টিউশন ফি দেয়ার প্রস্তাব আসে। পরের বছর সপ্তম শ্রেণিতে অবৈতনিক শিক্ষা চালু হবে। ২০২২ সালে অষ্টম শ্রেণিতে এবং ২০২৬ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে অবৈতনিক শিক্ষা চালুর কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
অবৈতনিক শিক্ষা সম্পর্কে এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো.সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক স্তরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া অবৈতনিক করতে চান।’
বার্তা কক্ষ , ৭ অক্টোবর ২০১৯