চাঁদপুরের কচুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে পরিবার কর্তৃক প্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে গত ৪দিন ধরে তার বান্ধবীর বাসায় অবস্থান করার খবর পাওয়া গেছে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হারিচাইল-পদুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল হোসেন কচুয়া পৌরসভাধীন পলাশপুর এলাকায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন।
তার কন্যা বর্তমানে কচুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে অধ্যয়নরত রয়েছে। বিল্লাল হোসেন ও ছাত্রীর মামা আবুল হাছানাত মাস্টার মিলে বিল্লাল হোসেনর বড় ভাই মকবুল হোসেনের প্রবাসী ছেলে যুবক মহিনের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।
ফলে বাধ্য হয়ে মেধাবী ওই ছাত্রী গত ৪ দিন যাবৎ তার বাবার ঘরে না গিয়ে তার বান্ধবীর বাসায় অবস্থান করছে।
ওই ছাত্রী জানান, আমার বাবা ও মামা আমাকে আমার প্রবাসী চাচােেতা ভাই মহিনের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমি এতে রাজি নই, আমি লেখাপড়া করে আমার ভবিষ্যৎ গড়তে চাই।
তবে স্কুল ছাত্রীর বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে কুরআন শরীফ পড়তে চায়না, মোবাইলে কথা বলে, আমি বাধা দিলে সে ৪ দিন পূর্বে বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার পর এখনও বাসায় আসছে না।
অন্যদিকে মেয়ের মামা আবুল হাসানাত মাস্টারের বক্তব্য জানতে বার বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। মেয়ের বাবা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আমার কার্যালয়ে সোমবার ডেকেছি। ১৮ বছরের আগে কোনো ভাবেই এ মেয়ের বিয়ে দেয়া যাবে না। ’
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আমির হোসেন মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিষয়টি ওই ছাত্রী আমাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে। আমি ওই ছাত্রীর বাবাকে বাল্য বিয়ে না দেয়ার কথা বলেছি।’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কচুয়া
২ জানুয়ারি ২০১৯