সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশনে পাঁচটি নতুন ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ আরও চারজন সাবেক সেনাপ্রধান।
বুধবার সেনানিবাসের ৮ সিগন্যাল ব্যাটালিয়নের প্যারেড গ্রাউন্ডে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিটগুলোর মধ্যে ৬৫ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ১৬১ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানি ইএমই-এর পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মুবিন, ৪২ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) শাহ আতিকুর রহমান, ১২৬ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) আবু সালেহ মো. নাসিম এবং স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন-উর-রশীদ।
পতাকা উত্তোলন শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সম্পদ। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাংবিধানিক ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলছে সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি ১৯৭৪ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি ২০১৮-এর আলোকে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বিশ্বাসী। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনসহ বাংলাদেশে একাধিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক।
সেনাসদস্যের উদ্দেশে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। সেই সঙ্গে পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের মাধ্যমে আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এসএম শামিম উজ জামানসহ সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের আগে প্যারেড কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আখনুক বিল্লাহর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করেন।(জাগো নিউজ)
৭ মার্চ,২০১৯