Home / শীর্ষ সংবাদ / ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর শর্টগান গুলিসহ জব্দ
tofayel-bhuyan-shotgun

ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর শর্টগান গুলিসহ জব্দ

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী তথা স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার শর্টগান গুলিসহ জব্দ করেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগরী যুবলীগের এই নেতা আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত রোববার (১৭ মার্চ) রাতে উপজেলার চরমুঘুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া দেহরক্ষীসহ শর্টগান ব্যবহার করেন। এই নিয়ে গত শনিবার উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সর্দারপাড়ায় তার ওপর হামলার চেষ্টায় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এতে তার প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকের জাহিদুল ইসলাম রোমানের নির্বাচনী সমন্বয়কারী মনির হোসেন নির্বাচন কমিশনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ ও জনমনে ভীতিসৃষ্টির অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার শর্টগান ৪৩ রাউন্ড গুলিসহ জব্দ করে পুলিশ।

জানা গেছে, দুই দফায় পুলিশ পাঠিয়েও যখন তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার কাছ থেকে অস্ত্রটি জব্দ করতে ব্যর্থ হয় তখন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ চৌধুরী একদল পুলিশ নিয়ে ওই প্রার্থীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি গুলিসহ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন তিনি।

এই বিষয় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, নির্বাচনকালিন সময় প্রকাশ্যে কোন প্রার্থী বা ব্যক্তি অস্ত্র বহন এমনকি প্রদর্শন করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে কেউ যদি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হন, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা চাইতে পারেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন, পুলিশ বাহিনী সবার সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে বদ্ধপরিকর। এই ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা রয়েছি।

এ বিষয়ে প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমি নির্বাচনি প্রচারণাকালে একাধিকবার প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছি। আমার বাড়িতেও একাধিকবার হামলা করেছে। তাই আমি নিরাপত্তার কারণে প্রচারণার সময় আমার নামে নিবন্ধনকৃত বৈধ শর্টগান ব্যবহার করেছি। এটি দিয়ে ভোটারদেরকে ভয়-ভীতি দেখানোর প্রশ্নই আসে না।’

প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ মার্চ চাঁদপুরের ৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এরমধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরো ৬জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বার্তা কক্ষ
১৮ মার্চ, ২০১৯