পরিবেশ ও বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের শুমারিতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি থাকলেও ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত জরিপে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।
শনিবার (২৯ জুন) সকালে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।
সরকারি দলের মদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের পরিমাণ কিছুটা কমতি থাকলেও গেওয়া গাছের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বাড়ছে। ফরেস্ট ইনভেনটরি ১৯৮৫, ১৯৯৫ ও ২০১৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সুন্দরবনে এককভাবে সুন্দরী গাছ যথাক্রমে ২০ শতাংশ, ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ভূমি বন আচ্ছাদিত আছে। সুন্দরবন রক্ষায় ৪৫৯ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ৯‘শ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী পহেলা জুলাই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে মো. শাহাব উদ্দিন জানান, সুন্দরবনের নিকটতম স্থানসমূহে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক যাতে পরিবেশ দূষণ না হয়, সেজন্য পরিবেশ অধিদপ্তর এ সকল শিল্পকারখানা নিয়মিত পরিবীক্ষণ করছে এবং উদ্যোক্তগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছে। সুন্দরবনের নিকটতম স্থানে এলপিজি প্লান্টসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলি দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নয় বলে তিনি জানান।
সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী জানান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার ৪৮টি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকা ২০টি, জাতীয় উদ্যান ১৯টি, ইকোপার্ক ৩টি, বিশেষ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা ২টি, সাফারি পার্ক ২টি, এভিয়ারি ইকোপার্ক একটি ও মেরিন পার্ক একটি।