শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন,‘ ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৬টি পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাল করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ পাবে। পাঠ্যবইয়ে যেসব বিষয় বুঝতে সমস্যা হতো ডিজিটাল বইয়ে শব্দ, ছবি ও ভিডিও দেখে শিক্ষার্থীরা সহজেই তা বুঝতে সক্ষম হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ইন্টারএকটিভ ডিজিটাল টেক্সটবুকের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারএকটিভ ডিজিটাল টেক্সটবুক শিশুদের পাঠ গ্রহণে সহায়ক হবে। আইডিটি শিক্ষার্থীদের সহজে বুঝতে ও শিখতে যেমন সহায়তা করবে, তেমনি শিক্ষকদের জন্যও এটি সহায়ক হবে। এর আগে নবম-দশম শ্রেণির ৬টি বইয়ের ই-লানিং ম্যাটেরিয়াল তৈরি করা হয়েছে। সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৭ম শ্রেণির ৬টি এবং ৮ম শ্রেণির ৬টি ইন্টারএকটিভ ডিজিটাল বই তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনে আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ধারণ করতে হবে। প্রযুক্তির সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ভর্তি ও ফলাফল প্রকাশসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনেক কার্যক্রম পেপারলেস হয়েছে।’
এনটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক ডিজিটাল করাটা কঠিন বিষয়। সকলের প্রচেষ্টা ও জ্ঞান দিয়ে তা করা সম্ভব হয়েছে। ধর্মীয় পাঠ্যপুস্তক ডিজিটালাইজ করাটা কঠিন বিষয়, ধর্মীয় বিষয়ে ছবি ও শব্দ যুক্ত করতে আমাদের অনেক সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়েছে। তারপরও যদি কোথাও কোন ভুল ধরা পরে তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সংশোধন করা হবে ।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারয়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো.আলমগীর,এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ পার্কাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও অধিদফতরের কর্মকর্তা,বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তা।
বার্তা কক্ষ
২০ সেপ্টেম্বর ,২০১৮ বৃহস্পতিবার