Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে চাচা কর্তৃক ভাতিজির সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগ
hajigonj ...

হাজীগঞ্জে চাচা কর্তৃক ভাতিজির সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ৩৬ বছর ধরে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে চাচার বিরুদ্ধে এক অসহায় নারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও হাজীগঞ্জ থানার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের আলোকে জানা যায় পৌর এলাকার কংগাইশ গ্রামের মৃত বশির রাঢ়ীর মেয়ে শিল্পী রাঢ়ী ২৮ বছর পূর্বে বাবা-মাকে হারায়।

এ সুযোগে আপন চাচা মো.কামাল রাঢ়ী বড় ভাইয়ের একমাত্র এতিম মেয়ে শিল্পী রাঢ়ীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে নিকট আত্মীয়ের আশ্রয়ে ঢাকায় বেড়ে উঠার পর জামাল মিয়ার ছেলে মো.মোজাহার সোহেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

কিন্তু সেখানেও ঠাঁই মিলেনি এতিম মেয়েটির। সর্বগ্রাসী পদ্মার ভাঙ্গনে স্বামীর ভিটা মাটি নদীগর্ভে ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে ঢাকা জেলার দোহারে বাসা ভাড়া নিয়ে জীবন যাপন করছে। প্রায় সময়ে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির খোঁজ নিতে দেশে আসলে আপন চাচা কামাল রাঢ়ী তাকে বিতাড়িত করে বের করে দেয়।

প্রথমে ২০১৮ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) বরাবর ও সর্বশেষ ২০১৯ সালে থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর এতিম মহিলা পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে আপন চাচা কামাল রাঢ়ীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আলীগঞ্জ ৩০৩ নং তৌজি ভূক্ত ২৪০ নং কংগাইশ মৌজার ৪৫ নং খতিয়ানভূক্ত বিভিন্ন দাগে বসত ভিটি,পুকুর, বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে ৩৬ শতাংশ সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী শিল্পী রাঢ়ী দাবি করেন।

অভিযোগের আলোকে কামাল রাঢ়ীসহ থানায় ও সর্বশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে বসে সিদ্ধান্তমতে শুধুমাত্র মেয়েটিকে বসতঘর উঠানোর জায়গাটুকু দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে তাও দিতে নারাজ ভূমি দুস্যু কামাল রাঢ়ী।

ভূক্তভোগী শিল্পী রাঢ়ী বলেন,‘৩৬ বছর ধরে বাবার সম্পত্তি ভোগ করছেন আমার চাচা কামাল রাঢ়ী। পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে এতো বছর ধরে আমাকে দূরে রেখেছে। চাচা এলাকায় নামকরা সুদখোর বলে কেউ কোনো কথা বলতে পারছে না। আমি এতিম অসহায় একজন নারী হিসাবে প্রশাসনের মাধ্যমে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই। এ বিষয়ে ভূমিদুস্যু ও সুদখোর কামাল রাঢ়ীর সাথে কথা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন,‘আমি বাবার খেদমত করেছি। তাই বাবার সম্পত্তি আমারই একমাত্র ভোগ করার অধিকার রয়েছে। ’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আপনার ভাতিজিকে ৪০ পয়েন্ট জায়গা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সুদখোর কামাল রাঢ়ী বলেন,‘তখন রাজি ছিলাম এখন রাজি না। আমি অনেক কষ্টে এ সম্পত্তি আগলে রেখেছি। কেউ পাওনা থাকলেও তিল পরিমাণ দিতে পারবো না।’

তথ্য মতে জানা যায়, কামাল রাঢ়ী তার পালক মেয়ে ও মেয়ের জামাতাকে সম্পত্তি দিলেও আপন ভাতিজিকে তার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে।

জহিরুল ইষলাম জয়
১১ সেপ্টেম্বর , ২০১৯