আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য স্থায়ীভাবে নির্দিষ্ট বেড রাখার দাবি জানিয়েছে অভিভাবকরা।
হাসপাতালে থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট কোন বেড না থাকার কারনে প্রতি মাসে রক্ত দিতে এসে রোগী নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় অভিবাবকদের।
জানাযায়, চাঁদপুর জেলা শহরের বিভিন্নস্থান থেকে থেলাসেমিয়ায় আক্রান্ত সর্বমোট ৬৮ জন রোগী প্রতিমাসের বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে রক্ত দিতে যায়।
থেলাসেমিয়ায় আক্রান্ত বিভিন্ন রোগীর অভিবাবকরা জানায়, যারা থেলাসেমিয়ায় আক্রান্ত , প্রতিমাসে তাদের শরীরে নতুন রক্ত দিতে হয়। আর এসব রক্তদাতা তারা নিজেরা এবং হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে।
বেশ ক’জন অভিভাবক জানান, তারা যখন ডোনারদের কাছে রক্ত সংগ্রহ করে রোগীদের রক্ত দিতে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এবং অন্যান্য ওয়ার্ডে যান, তখন রোগীকে শুইয়ে রক্ত দিতে বিছানা সংকটে বিপাকে পড়তে হয়। দেখা গেছে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে তাদের ভিড়ে কোন বিছানা খালি পাওয়া যায়নি।
তখন বাধ্য হয়েই কোন রকম কষ্ট করে মেঝের বিছানায় কিংবা ভর্তিকৃত অন্য রোগীদের অনুরোধ করে তাদের বেডে শুইয়ে রোগীকে রক্ত দিতে হয়। প্রতিমাসে যখনই রক্ত দিতে যান তারা, তখনই বিছানার সমস্যায় পড়তে হয় অভিবাবকদের।
তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি সরকারি এ হাসপাতালে রক্ত দিতে আসা এসব থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য আলাদা একটি ইউনিট কিংবা দু, তিনটি আলাদা বেড স্থায়ীভাবে রাখা হয়। তাহলে হয়তো প্রতিমাসে থেলাসেমিয়া রোগীদেরকে নিয়ে বেডের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হবে না তাদের।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মোঃ সফিউল আলম সহ একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তারা জানান, হাসপাতালের যে পরিস্থিতি তা কোন ভাবেই তাদের জন্য আলাদা ইউনিট কিংবা আলাদা করে বেড রাখা সম্ভব নয়। কারন স্বাভাবিক সময়েও যখন হাসপাতালে কোন রোগী ভর্তি থাকে তখন কোন একটি বেড খালি হতে না হতেই অন্য রোগীরা সেই খালি বেডে উঠে পড়ে। আর যদি আলাদা কয়েকটি বেড হাসপাতালে খালি পড়ে থাকে সেগুলো তো আরো আগে দখল হয়ে যাবে।
তার পরেও যদি থেলাসেমিয়া রোগীর অভিবাবকরা হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নিকট এমন কোন আবেদন করে আমরা সেটি বিভেচনায় করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো। তারা যদি তা ব্যবস্থা বা অনুমোদন দেন তাহলে অবশ্যই তা আমরা করবো।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯