গরবীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা কেজি দরের চাল চুরি করে এনে বিক্রি করা হচ্ছে মুদি দোকানে। ডিলার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজসে গত কয়েকমাসেই ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজারে আঃ ছাত্তার নামের ব্যবসায়ীর দোকানে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দ ও ১০টাকা দরের চাল ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও সরকারি অধিকাংশ বরাদ্দের চাল প্রকৃত উপকার ভোগীদের না দিয়ে বিক্রির হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চেয়ারম্যান ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা বাহার খান গরীবদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০টাকার চাল এভাবে দোকানে এনে ৩০ কেজি বস্তা ৭০০টাকা বিক্রি করছেন। তাদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কেউ কিছু বলতে পারে না।
শনিবার চান্দ্রা পূর্ব বাজারে ছাত্তারের মুদি দোকানে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের খাদ্য অধিদপ্তরের সীল মারা বিপুল সংখ্যক বস্তা পাওয়া যায়। কিভাবে তার দোকানে এসব চাল এসেছে জানতে চাইলে দোকানী আঃ ছাত্তার এলোমেলো উত্তর দেন। সে একবার বলে এসব চাল চেয়ারম্যান আমাকে বিক্রি করতে দিয়েছে। আবার বলে আমি এসব চাল খাদ্য গুদাম থেকে এনেছি।
উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, এসব চাল ১০ টাকা কেজি দরের না। এসব চাল কাবিখার বরদ্দের। যদি সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলতে পারবো না কিভাবে ওই দোকানে বিক্রি হচ্ছে। আপনার এই বিষয়ে উপজেলায় যোগাযোগ করেন।
এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী আফরোজ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি, তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, বিষয়টি আমি শুক্রবার রাতেই জেনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাল জব্দ ও ব্যবসায়ীকে আটক করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ এপ্রিল ২০১৯