আরও একটি ভয়ংকর দিন দেখতে হলো ব্রাজিলের ফুটবল অঙ্গনকে। ২০১৬ সালে শাপেকোয়েন্স ট্র্যাজিডির পর গতকাল শুক্রবার ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছেন ১০ জন কিশোর ফুটবলার।
আহত হয়েছেন ৩ জন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় থমকে গেছে গোটা ব্রাজিল। কিংবদন্তি পেলে, লিওনেল মেসিসহ শোক জানিয়েছেন বিশ্বফুটবলের বহু তারকা-মহাতারকা। ১২৩ বছরের পুরনো এই ক্লাবটির ভবিষ্যত নিহত ১০ কিশোরের পরিচয় অবশেষে প্রকাশ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার দিন জানা গিয়েছিল, নিহত ১০ জনের ৪ জন ক্লাবের একাডেমির খেলোয়াড়, ২ জন ক্লাবে ভর্তি হওয়ার জন্য ট্রায়াল দিতে এসেছিল। বাকি ৪ জন কর্মকর্তা। কিন্তু আজ নিহত দশজনেরই পরিচয় মিলেছে।
যাদের সবার বয়সই ১৪ থেকে ১৬ এর মাঝে। হতভাগ্য এই কিশোররা হলেন- আর্থার ভিনিসিয়ুস, থিলা পাইক্সো, বার্নার্দো পিসেতা, ক্রিশ্চিয়ান এসমেরিও, ভিক্টর ইসাইয়াস, পাবলো হেনস্রিক, জর্জে এদুয়ার্দো, স্যামুয়েল থমাস, গেডসন সান্তোস, রিকেলমে ভিয়ানা। এর মধ্যে ক্রিশ্চিয়ান এসমেরিও (১৫) চলতি বছর ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৭ দলে ডাক পেয়েছিলেন।
রিও ডি জেনিরোর পশ্চিমে ভারগেম গ্রান্দে অবস্থিত ফ্ল্যামেঙ্গোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সাধারণত যুব একাডেমির খেলোয়াড়রাই থাকে। শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় সেখানে আগুন লেগে যায়। তখন কিশোর ফুটবলাররা সকলেই গভীর ঘুমে।
সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কাছে সহযোগিতার জন্য ফোন করা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে তাদের। রিওর পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর, তার শরীরের ৩০ ভাগই পুড়ে গেছে।
এই ঘটনায় ক্লাব সভাপতি রোডোলফো ল্যান্ডিম বলেছেন, ‘আমাদের ক্লাবের ১২৩ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ঘটনা এটি। এখন আমাদের সকলকে এই ঘটনার আবেগ যতটা কমানো যায়, তার চেষ্টা করতে হবে। ফ্ল্যামেঙ্গো তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এই ঘটনার শোক থেকে বের হয়ে আসার জন্য। ঘটনার মূল কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে আমরা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’