নাম তামান্না আক্তার (১৩), পিতা: আবু তাহের, গ্রাম-চরপয়ালী। সে উপজেলার আঁচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্য ৮/১০টি মেয়ের মতো এ বয়সে লেখা-পড়া ও হেসে খেলে বেড়ানোর কথা তামান্নার।
সহপাঠীদের খুঁনসুটিতে পার করার কথা। কিন্তু সে বয়সে তামান্না কিছুই করতে পারছে না। বরং বুকের ব্যথায় কাতরাচ্ছে সে।
তার হৃদপিণ্ডে বড় ছিদ্র ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক। তামান্না আক্তারের বাবা আবু তাহের মিয়াজী শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধী। মা শাহিনুর বেগম দর্জির কাজ করে উপার্জিত আয় দিয়ে সংসার চালান।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তামান্নার মা শাহিনুর আরও বলেন, গত মার্চ মাসে একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাইন্ডেশনে চিকিৎসকের নিকট তামান্নাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার হৃদপিন্ডে একটি বড় ছিদ্র থাকার কথা জানান। তার চিকিৎসায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে। দ্রুত চিকিৎসা করানো না হলে তামান্নাকে বাঁচানো যাবে না।
যেখানে তামান্নার পরিবারের নুন আনতে পানতা ফুরায়। সে দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তামান্নার শারিরীক অবস্থাও দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। অর্থাভাবে অস্ত্রোপাচারও হচ্ছে না।
চিকিৎসার টাকার জন্য তার মা শাহিনুর মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বৃত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এবং যারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক তাদের ০১৭৭৪-৭৩৮৭২৪ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তামান্নার মা।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
২৫ মে ২০১৯