হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে পরকীয়ার শেষ পরিণতিতে দ্বিতীয় স্বামীর হাতে নিহত স্ত্রী

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সুমি আক্তার (২০)স্বামীর নির্যাতনে নিহত হওয়ার অভিযোগ করেছে মা আমেনা বেগম। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কংগাইশ গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে এ ঘটনা ঘটে।

চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আফজাল হোসেন (হাজীগঞ্জ সার্কেল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সুমি আক্তারের মা আমেনা বেগম জানান, তার মেয়ে সুমিকে স্বামী মাসুদ তিন দিন ধরে বেধম প্রহার করে। পরে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে সোমবার সন্ধ্যায় সুমির লাশ কংগাইশ বাবার বাড়ির কবরস্থানে দাপন করা হয়।

হাজীগঞ্জ থানার এস আই মোশারফ হোসেন জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার কংগাইশ ফকির বাড়ির জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে ফেনি জেলার ইসমাইল হোসেন টিটুর বিয়ে হয়। তারা বিয়ের পর টোড়াগড় গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। এর ফাঁকে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জম্ন নেয়। কিছু দিন যেতেই সুমি এ উপজেলার বেলঘর গ্রামের মাসুদ নামে এক ছেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করে।

তখন চাঁদপুর সদরের বাবুর হাটে ভাড়া বাসায় উঠে। সে খানেও তাদের দু জনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। পরে সুমি ঢাকায় চলে যায়। সেখানে একটি গার্মেন্টফ্যাক্টরিতে চাকরি করে সুমি । গত শুক্রবার সুমি আবার দ্বিতীয় স্বামী মাসুদের কাছে চলে আসে এবং বাবুর হাটের বাসায় উঠে।

সোমবার দুপুরে মাসদ সুমির মা আমেনা বেগমকে সুমি হাসপাতালে আছে বলেই মাসুদ পালিয়ে যায়।

সুমির মা আমেনা বেগম জানান, আমি ফোন পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে যাই। তখন আমার মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখি। তখন সুমি জানায় তার স্বামী মাসুদ তিন দিন ধরে তাকে মারধর করেছে। কিছুক্ষন পরেই সুমির মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায় এব্যাপারে হত্যা মামলা হবে। তবে মাসুদ পলাতক রয়েছে। তার পুর্নপরিচয়ও খুঁজছে পুলিশ।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২০ আগস্ট ২০১৯

Share