হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে ৩ মাস পর নিখোঁজ বাবাকে ফিরে পেলেন শ্রাবণী

তিন মাস পর নিখোঁজ বাবা খোকন চন্দ্র দাসকে (৪৮) ফিরে পেলেন কলেজছাত্রী শ্রাবণী রানী দাস।সোমবার(৮ এপ্রিল) সকালে হঠাৎ বাসায় হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দেন বাবা।

এভাবে বাবাকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন শ্রাবণী; সেটি তার চোখ দেখেই বোঝা গেল। বাবাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিল না মেয়েটি।

সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। শ্রাবণী রানী দাস হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

বাবার অবর্তমানে সংসারের হাল ধরেন মেয়েটি। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি ও একটি প্রাইভেট হসপিটালে পার্টটাইম চাকরি করেন শ্রাবণী।

শ্রাবণী জানান, বাবা আচমকা আমার হাজীগঞ্জ বাজারের বাসায় এসে হাজির। বাবাকে দেখে আমি বেজায় খুশি হয়েছি। বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় মেয়ে বাবা নিখোঁজের সংবাদ প্রকাশের দু’দিন পর বাবা আমাদের মাঝে ফিরে আসে।

মেয়েটি আরও জানান, বাবাকে একটি মোবাইলের ব্যবস্থা করে দেব। বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ। আমাদের নিয়ে বাবার কোনো ভাবনা নেই- তাতে কি হয়েছে? বাবাকে কাছে পেয়ে মনটা অনেক বড় হলো।

নিখোঁজ হওয়া খোকন চন্দ্র দাস বলেন, আমি তিন মাস আগে বাড়িতে না বলে হেঁটে হেঁটে কুমিল্লা বড় মেয়ের বাসায় যাই। সেখান থেকে ট্রেনে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলস্টেশনে যাই। সেখানে গিয়ে দিনে পান বিক্রি করি। পাহাড়তলী রেলস্টেশনের রফিক মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর পানির স্টোরে রাতযাপন করি।

তিনি আরও জানান, আমি দেখা করতে এসেছি। আবার চট্টগ্রামে চলে যাব।

খোকন চন্দ্র দাসের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাস বলেন, স্বামীকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে। কিন্তু তিনি তো মানসিকভাবে অসুস্থ। আমার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মেঝো মেয়ে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর ছোট দুই মেয়ে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সন্তানদের নিয়ে আমি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে গত ১৬ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

বার্তা কক্ষ
৯ এপ্রিল,২০১৯

Share