চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় পিয়ারীখোলা গ্রামে কাঠমিস্ত্রি সোহেল রানা (১৭) হত্যার ঘটনায় মো. রুবেল (২৮) নামের আরও একজনকে আটক করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় উপজেলার পিয়ারীখোলা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রুবেলকে আটক করে পুলিশ।
ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, নিহত সোহেল রানার ১৫ হাজার টাকা দামের মুঠোফোনের সেটটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই ফরহাদ ও রুবেলসহ তাঁদের কয়েকজন বন্ধু মিলে এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁরা। ফরহাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে সোহেল রানার কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়।
হত্যায় ব্যবহৃত ছোরাটি জব্দ করা হয় ফরহাদের বাড়ির একটি ড্রামের ভেতর থেকে।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ জানান, গত রোববার রাতে সোহেল রানা খুন হওয়ার পর সোমবার রাতে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় উপজেলার পেয়ারীখোলা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন মো. রুবেলকে আটক করে পুলিশ। রুবেল উপজেলার পেয়ারীখোলা গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি (রুবেল) নিহত সোহেল রানার ফুফাতো ভাই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ খুনের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন রুবেল ও ফরহাদ। তাঁদের ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে ফরহাদকে কারাগারে পাঠানো হয়। রুবেলকেও আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। রুবেল এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বা মাস্টারমাইন্ড।
এ সংক্রান্তে আরেকটু প্রতিবেদন পড়ুন- মতলবে মাথা বিচ্ছিন্ন করে খুনের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক, ২১ আগস্ট ২০১৯