চাঁদপুর

পর্যায়ক্রমে চাঁদপুর পৌর এলাকায় ১শ’ ৯৭ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুর পুলিশ সুপার জিহাদুর কবির বিপিএম পিপিএম উদ্যোগ নেওয়ার পর সদর মডেল থানায় বাড়ছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আত্ম সর্মপনের সংখ্যা। যার ফলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে নিজেকে ভাল পথে ফিরিয়ে আনতে এ পর্যন্ত পৌর এলাকার ১শ’৯৭ জন আত্মসর্মপণের পথ বেছে নিছে। এজন্য পুলিশ প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানিয়েছে চাঁদপুরবাসী।

চাঁদপুর মডেল থানার মাধ্যমে জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মডেল থানায় ৪৮ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম পিপিএম এর উপস্থিতিতে আত্মসর্মপণে মাধ্যমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠিনিকতা শুরু হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ১শ ৯৭জন আত্মসর্মপন করেছে।

কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য মো. আবদুর রব জানায়, বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্য থেকে যে যে কাজে পারদর্শী তাকে সেই কাজের জন্য পুলিশ প্রশাসন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পৌর এলাকার ৫ শতাধিকের বেশি মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীর তালিকা রয়েছে। যারা আত্মসর্মপB করে তাদের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্তদের আমরা কারাগারে প্রেরB করি। আর যাদের ওয়ারেন্ট নেই তাদেরকে আমরা আত্ম সর্মপন সেলে ২ থেকে ৩দিন রেখে তদারকি করে থাকি। পরে পরিবার বা জনপ্রতিনিধির কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

শহরের কয়লাঘাট এলাকার লম্বা সোহেল ও পুরাণ বাজার বৌ বাজার এলাকার হেলাল ফরাজী, বড় স্টেশনের সুমন প্রধানিয়া, স্ট্যান্ড রোডের দেলোয়ার হোসেন, মহিলা কলেজ রোডের ভ্যারাইটিজ রাসেল, শিলন্দীয়া এলাকার হ্নদয় কাজী জানায়, পুলিশের মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণা ও বিশেষ অভিযানের কারনে তারা স্বেচ্ছায় আত্মসর্মপণ করেছে। পেছনের সব ভুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়।’

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন জানায়, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বিপিএম পিপিএমের নির্দেশে চাঁদপুরকে মাদকমুক্তকরণে আমরা কাজ করছি। এ জন্যে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

একাধিক সময়ে উল্লেখযোগ্য আত্মসমর্পণকারী মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, শহরের পশ্চিম বিষ্ণুদী এলাকার আ. মতিন মাঝির ছেলে মো. সুমন মাঝি (৩২), বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে মো. সজীব হোসেন সেতু (২১), তালতলা এলাকার মৃত জহিরুল ইসলাম পাটওয়ারী ছেলে মো. মেরাজুল ইসলাম রিয়েল পাটওয়ারী (৩৪), কলিশাডুলী মৃত আঃ মান্নানের ছেলে মো. রাসেল বেপারী (২৫), উত্তর চেয়ারম্যান ঘাট জিটি রোডের মো, আলমগীর বেপারীর ছেলে মো. আশিকুর রহমান রনি (২০), তালতলা এলাকার মোহাম্মদ জয়নাল পাটওয়ারীর ছেলে মানিক পাটওয়ারী (৩৮), প্রফেসার পাড়া মোল্লা বাড়ির মৃত সাবু মিয়ার ছেলে মো. মফিজুল ইসলাম (১৬), শিলন্দিয়া কসাই বাড়ির মৃত জামাল গাজীর ছেলে মিজান গাজী প্রকাশ কসাই মিজান (৩৫), হাপানিয়া মিজি বাড়ির আঃ মান্নান মিজির ছেলে মো. ইমাম হোসেন পাবেল (৩২),

উত্তর চেয়ারম্যান ঘাট বিটি রোডের মৃত আলী বেপারীর ছেলে মো. আলমগীর বেপারী (৪৮), পশ্চিম বিষ্ণুদী চৌধুরী বাড়ির আফজাল চৌধুরীর ছেলে আল আমিন (২২), উকিল পাড়া জাহানারা গাডেনের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম তুহিন (৩৯)।

এদিকে শুক্রবার (১৯ মে) চাঁদপুর জেলা পুলিশের বার্ষিক ইফতার মাহফিলে চাঁদপুরের কৃতি সন্তান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম বার বলেছেন, ‘সারাদেশে মাদক কারবারি, মাদকসেবী এবং চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক ফিরে আসাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে তারা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। আইনের ব্যতয় ঘটলে তারা ছাড় পাবে না।’

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
১৭ মে ২০১৯

Share