চাঁদপুর সদর উপজেলার ছয়জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের বেতন ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় । গত
8 আগস্ট টাদপুরের জেলা প্রশাসককে পাঠানো এক স্মারকে নির্দেশঞ্রমে অনুরোধ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এ এইচ এম
মহসীন রেজা ।
অপরদিকে আরো ১৯ জনের সম্মানী সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন গেজেট বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধারা হলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার মাদরাসা রোড এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ্ঞ খানের ছেলে আবদুর রশিদ খান, একই এলাকার এলাকার মৃত আবদুল আজিজ মুগ্সির ছেলে মো.আমিনুল হক মুন্সি, গুণরাজদী এলাকার মুত আবদুল জাব্বারের ছেলে মো. মোখলেছুর রহমান, পুরাণবাজার শ্রীরামদী এলাকার মৃত আন্দুল জব্বারের ছেলে মো. আবলুল্লাহীল বাকী, হানারচর এলাকার মৃত আ. হাসিম মিয়ার ছেলে হাবিলদার (অব.) সুলতান এবং শহরের মুক্তি সরণি রোড এলাকার মৃত মিছির আলীর ছেলে আবদুল মান্সান।
নির্দেশিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সুক্তিযোদ্ধা কাউঙ্সিল (জামুকা) এর ৬১তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে তাদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শওকত ওসমান জানান, ইতোমধ্যে তাদের সম্বানী ভাতা বন্ধের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে চাদপুরে গেজেট বাতিল হওয়া ছয় মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে তিনজন হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। গত ৩০ জুন জেলা প্রশাসকসহ ছয়জনকে বিবাদী করে হাইকোর্টে এ রিট পিটিশন করা হয় ।
পিটিশন দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মৃত আন্দুল জব্বারের ছেলে মো. আবদুল্লাহীল বাকী: গুণরাজদী
এলাকার মৃত আবদুল জাব্বারের ছেলে মো. মোখলেছুর রহমান, হানারচর এলাকার মুত আ. হাসিম মিয়ার ছেলে হাবিলদার (অব.) সুলতান আহম্মদ মিয়া।
রিটকারী’ সুলতান আহম্মদরা জানান, জাতীয় ঘুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নীতিমালার বহির্ভুত প্রায় ২শ’ জনের ভাতা স্থগিত বেআইনিভাবে আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের
হাইকোর্ট ডিভিশনে পৃথক পৃথক রিট পিটিশন করা হয়েছে হাইকোর্ট ডিভিশন চার (০৪) সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রু্ল জারি করেন। উক্ত আদেশ
অবৈধ ঘোষণা করে ৬ মাসের জনা আদেশ স্থগিত করেন । আদেশের কপি ডিসি অফিসে কোর্টের মাধমে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা তথা পরিপত্র অনুযায়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার যাচাই-বাছাই কমিটি আরো ১৯ জন, কচয়ায় ২০ জন হাইমচরে ৬ জনসহ জেলায়
প্রায় ২শ’ জনের ভাতা৷ প্রদান স্থগিত রেখেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহবারী সচিব এইচ এম মহসীন রেজা স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয় মহানগর/ডউপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি
কর্তৃক প্রদত্ত ‘না মঞ্জুরকৃত আবেদনের তালিকা ও সিদ্ধান্ত প্রতিবেদনে (‘গ’ তালিকা) যাদের নাম রয়েছে, তাদের মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বন্ধের জন্যে উপরোক্ত ‘ স্মারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে *খ’ স্মারকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের “মুক্তিযোগ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দোশকা-২০১৬’ এর
নির্দেশনার বাইরে এখতিয়ার বহির্ভতভাবে যাচাই- বাছাইয়ের মাধ্যমে কোনো ভারতীয় তালিকাভুক্ত বা বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম *গ’ তালিকায় উল্লেখ করা হলে সুত্রোক্ত পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা বন্ধ হবে না মর্মেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
ফলে ভারতীয় তালিকা এবং মুক্তিবার্তা চড়ান্ত তালিকা (মুক্তিবার্তা লাল বই-যাদের নামে মুক্তিযোগ্ধা নয় মর্মে ভযোগ নেই), সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি,
আনসার বীরাঙ্গনা, মুজিবনগর, শব্দ সৈনিক, স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিম, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা
এবং “পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৯৭৩ সনের সিরিয়ালে নাম উল্লিখিত “গ’ হলেও (যদি হয়ে থাকে) তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা
অব্যাহত থাকবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯