তিন মাস ধরে আলাদা থাকছেন অভিনেতা সিদ্দিক ও মারিয়া মিম। তাদের সংসারে শোনা যাচ্ছে ভাঙনের সুর। তবে পরিবারের সম্মতি নিয়ে ভালোবেসেই ঘর বেঁধেছিলেন দুজন। আট বছরের সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
সম্প্রতি মডেলিং করতে না দেয়ার অভিযোগে সিদ্দিককে ডিভোর্স দেবেন বলে জানান মারিয়া মিম। তবে সিদ্দিকও চান না সংসার ছেড়ে মডেলিং করুক স্ত্রী। এ বিষয়ে সিদ্দিক বলেন, আকস্মিকভাবে মিম বলছে মডেলিং করবে। কিন্তু আমার ছেলেটাকে দেখার কেউ নেই। দুজনে যদি কাজে ব্যস্ত থাকি, তবে ছেলেটাকে দেখবে কে? এ ছাড়া
সংসার শুরুর সময়েও বলেনি যে সে মডেলিং করবে। এখন হুট করে কার বুদ্ধিতে সে এসব বলছে বুঝতে পারছি না।
স্ত্রী মিম আলাদা থাকছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিক বলেন, গত রোজার ঈদে ওর বাবার বাড়ি মাদারীপুর গেছে। এর পর থেকে আমার কাছে ফেরেনি। আকস্মিকভাবে জানাচ্ছে মডেল হতে না দেয়ায় সে আমাকে ডিভোর্স দেবে। তবে আমি ভাবছি আমার ছেলেটার কি হবে?
স্ত্রীকে সংসারে ফিরে আসার আকুতি জানিয়ে সিদ্দিক বলেন, মিম তুমি ফিরে এসো। আমাদের একটা সন্তান রয়েছে। দুজন দুদিকে চলে গেলে ছেলেটা মানুষ হতে পারবে না। ফিরে এসে সংসারটা বাঁচাও, আমাদের শিশুটাকে দেখ।
এদিকে সিদ্দিককে নিয়ে নানা অভিযোগ মিমের। মিম জানান, শুধু মিডিয়ায় কাজ করতে না দেয়ায় তারা আলাদা থাকছেন এমন নয়। সিদ্দিকের সঙ্গে সংসার না করার শত শত কারণ রয়েছে। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা বললে গ্রেফতার হবেন সিদ্দিক।
তবে এর আগে সিদ্দিক জানান, কেবল মিডিয়ায় কাজ করতে না দেয়াতে আলাদা থাকছেন মিম। মিমকে তিনি তার সংসারে ফিরে আসার আহ্বানও জানান।
মারিয়া মিমের আরও অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে মনের অমিল শুরু হয়। বিয়ের আগে সিদ্দিক তার কোনো কিছু নিয়ে আপত্তি করত না। তবে এখন করে।
মারিয়া আরও বলেন, আমার সব কাজে সিদ্দিকের অভিযোগ। আমি সব ছেড়ে দিতাম।
যদি আমার স্বামী আমাকে মানসিকভাবে শান্তি দিত ও ভালোবাসত। সিদ্দিক ঠিক হয়ে যাবে, সুন্দর একটি পরিবার হবে- এই আশায় সাত বছর পার করলাম। সব সহ্য করে গেছি এতদিন, আর নয়।
সিদ্দিক আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে সিদ্দিক আমার সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণা করেছে। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করে গেছি। সব কিছু তো আর বলা সম্ভব নয়, যদি বলতাম তা হলে এতদিনে ওকে জেলে থাকতে হতো।
২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তারা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন।