চাঁদপুর

দূর্গা উৎসব পালনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপন উপলক্ষে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ , উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, আসন্ন দূর্গা পূজা সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে উদ্যাপনের সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাঁদপুরের দীর্ঘদিনের লালিত ঐতিহ্য।

প্রতিটি পূজা মন্ডপ এবং ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মন্ডপে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

পূজা মন্ডপে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয়তা সহায়তা প্রদানের জন্য পূজা উদ্যাপন পরিষদকে আহ্বান জানান, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সদস্যগণকে সার্বক্ষনিকভাবে পূজা মন্ডপে উপস্থিত থেকে প্রশাসনকে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। বক্তারা আরো বলেন, অনেক সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যায়। কাজে কোন সুযোগ সন্ধানী মহল যাতে তুচ্ছ কোন ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বড় কোন অঘটন ঘটাতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়।

প্রতিটি পূজা মন্ডপে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে রাখার জন্য বলা হয়। একই সাথে পূজা মন্ডপের পেছনের অংশে কোনভাবে যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন না থাকে সেদিকেও আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। চাঁদপুর পূজা মন্ডপে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আনসার ও ভিডিপির সদস্যদেরকে তাদের স্থানীয় পূজা মন্ডপে মোতায়েন করার প্রস্তাব করেন যাতে তারা সাচ্ছন্দ্যে দায়িত্ব পালন করতে।

প্রতিটি পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপনের জন্য পূজা মন্ডপের শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ভদ্র ও বিনয়ী যুবকদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের জন্য এবং উগ্র ও অসহিষ্ণু আচরণের কোন যুবক সেচ্ছাসেবক দলে না রাখার জন্য পূজা মন্ডপের আয়োজকদের আহ্বান করা হয়। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ পূজা চলাকালে অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রনের জন্য অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন কালী বাড়ি মোড় চৌধুরী ঘাট হয়ে মেথারোড পর্যন্ত রাস্তাটি ওয়ানওয়ে রাখার অনুরোধ জানান।

শহরের রাস্তার পাশে পূজা মন্ডপ তৈরি করা হলে পূজারীদের ভিড়ের কারণে সেসব রাস্তায় জানজট সৃষ্টি হয়। রাস্তার পাশে কোন পূজা মন্ডপ হলে যান চলাচলের জন্য রাস্তা পাকা রাখার জন্য এবং দশমী দিনে শহরে যাতে অসচল অবস্থা সৃষ্টি না হয় স্¦েচ্ছাসেবীদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মুখাজী ঘাটে একটি নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রার প্রদক্ষিন নিজ নিজ এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ শওকত ওছমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জামাল হোসেন, এনএসআই সহকারি পরিচালক আজিজুল হক,

প্রেসক্লাব সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী, অজিত সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুশীল সাহা, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধর, জেলা জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল সাহা সহ আরও অনেকে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান উপ-পরিচালক আবুল খায়ের মোঃ ছাইদ উল্লাহ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সৈয়দ শরীফ আহমেদ, শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আবু তাহের, কচুয়া উপজেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র সাহা সহ প্রতিটি উপজেলার পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Share