চাঁদপুরের কচুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুলের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে (১৩) তার বাবা ও মামা কর্তৃক জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টার ঘটনায় ওই ছাত্রীকে তার বাবার হাতে, ঘরে তুলে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ।
স্কুল ছাতী হাবিবা আক্তারকে তার বাবা ও মামা মিলে আপন চাচাতো ভাইয়ের কাছে বিয়ে দেয়ার ভয়ে ওই ছাত্রী টানা ৪ দিন ধরে তার কচুয়ার এক বান্ধবীর বাসায় আত্মগোপন করে থাকে।
এ নিয়ে চাঁদপুর টাইমসহ একাধিক গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশি হয়। এবং বিষয়টি সাংবাদিকসহ বিভিন্ মাধ্যমে জানার পর কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ গতকাল সোমবার তাঁর কার্যালয়ে ওই ছাত্রী ও তার বাবা-মাকে খবর দেন।
এসময় স্কুল ছাত্রী হাবিবা আক্তারের কাছ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ তার বক্তব্য শুনেন এবং তার সাহসীকতার জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ স্কুল ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে পুরস্কৃত করেন।
পরে তার বাবা মো. বিল্লাল হোসেন মেয়েকে বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত কোথাও বাল্য বিয়ে দিবে না বলে মুছলেকা দিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে যায়।
জানাগেছে, কচুয়া উপজেলার হারিচাইল-পদুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল হোসেন কচুয়া পৌরসভাধীন পলাশপুর এলাকায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছেন। তার কন্যা হাবিবা আক্তার বর্তমানে কচুয়া ক্যামব্রিয়ান স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে (রোল নং ০২) অধ্যয়নরত রয়েছে।
বিল্লাল হোসেন ও ছাত্রীর মামা আবুল হাছানাত মাস্টার মিলে বিল্লাল হোসেনর বড় ভাই মকবুল হোসেনের প্রবাসী ছেলে যুবক মহিনের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে মেধাবী ওই ছাত্রী স্কুলে গিয়ে গত ৪ দিন যাবৎ তার বাবার ঘরে না ফিরে কচুয়ায় তার এক ঘনিষ্ট বান্ধবীর বাসায় অবস্থান করে।
এদিকে মেধাবী ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ ও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।
প্রতিবেদক- জিসান আহমেদ নান্নু
৩ জুন ২০১৯