সৌদির ধরপাকড়ে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০ অক্টোবর রোববার রাত ১১.২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্স (SV 804) বিমান যোগে দেশে ফিরতে হয়েছে আরও ৭০ বাংলাদেশীকে।
দেশে ফেরত কর্মীদের বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে খাবার-পানিসহ নিরাপদে বাড়ী পৌঁছানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।
ফেরত আসা কুমিল্লার আবুল হোসেন, আলমগীর হোসেন, নওগাঁর রাইসুল ইসলাম, হবিগঞ্জের তরিত মিয়া, নাটোরের রিদয় হোসেন, নারায়ণগঞ্জের মোঃ জসীম, বি বাড়িয়ার আজিজুর, জামালপুরের আব্দুল খালেকসহ অনেকে অভিযোগ করেন, আকামার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরা কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, সৌদি আরবে বৈধ ভাবে ছিলেন এবং আকামার মেয়াদ থাকা সত্বেও সৌদি পুলিশ তাদের ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে, মসজিদে নামাজ পড়তে যাবার সময়, কর্মস্থলে কর্মরত থাকা অবস্থায়, বাজার করতে বের হলে পথ থেকে ধরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন তারা। অভিযোগ করে বলেন আকামা দেখানোর পরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা কর্মীরা। নিয়োগকর্তা বা কফিল কোনো দায়-দায়িত্ব নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন দেশে ফেরা কর্মীরা।
প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নয় মাসে সৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে ৩৬৭৫৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন আর শুধুমাত্র সৌদি থেকে ফিরেছেন ১৬ হাজার বাংলাদেশী।
ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাধারণ ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে আরেক জায়গায় কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে ফেরত আসছেন।
অনেকে খরচের টাকাও তুলতে পারছেন না। সমস্যা সমাধানে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর উচিত কাজ নিশ্চিত করে তাদের পাঠানো। যারা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে যাচ্ছেন তাদেরও সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিত। (যুগান্তর)
বার্তা কক্ষ, ২১ অক্টোবর ২০১৯