চাঁদপুর

একটি হুইল চেয়ারের আকুতি প্রতিবন্ধী শামসুলের

চাঁদপুরে একটি মাত্র হুইল চেয়ারের আকুতি শারিরীক প্রতিবন্ধী ভিক্ষা বৃত্তি করে খাওয়া অসহায় শামসুল গাজীর। যাকে কিনা প্রতিদিনই চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে কোট স্টেশনের প্লাটফর্মে শুয়ে বসে ভিক্ষা বৃত্তি করতে দেখা যায়।

জীবনের প্রয়োজনে চলাফেরা করার জন্য তার একটি হুইল চেয়ারের জন্য বিভিন্ন দ্বার প্রান্তে ঘুরে, শারিরীক প্রতিবন্ধী হয়েও তার কপালে একটি হুইল চেয়ার জোটেনি।

শামসুল গাজী চাঁদপুর পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডস্থ জাফরাবাদ গ্রামের মৃত সাদেক গাজীর ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট। বড় দু,ভাই দিন মজুর হিসেবে কাজ করে কোন রকম সংসারের গ্লানি টানছেন। আর সামসুল গাজী প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পান তা দিয়েই কোন রকম দিন পার করছেন।

সে জানায়, তার বয়স যখন ৩/৪ বছর তখন থেকেই সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুটি পা পঙ্গু হয়ে যায়। পা দুটি অকেজো হয়ে যাওয়ায় সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করার জন্য সে স্বাভাবিক ভাবে হাট চলা করতে পারেনি। নিয়তীর নিষ্ঠুর খেলায় ভাগ্যকে মেনে নিয়ে দু, হাতে সেন্ডেল ঢুকিয়ে তার ওপরই ভর করে হাটতে হয় শামসুল গাজীর। আর পায়ের কাজ হাতে সেরেই প্রতিদিন জীবনের তাগিদে ভিক্ষা বৃত্তি করার জন্য বাহিরে বের হতে হয় তাকে।

তাই এই শারিরীক প্রতিবন্ধী, গরীব, অসহায় সামসুলের একটি হুইল চেয়ারের খুবই প্রয়োজন। সমাজের বৃত্তবান এবং সামাজিক, সংগঠন কিংবা সরকারি কোন সংস্থা যদি একটি হুইলে চেয়ারের হাত বাড়িয়ে দিয়ে জীবন চলার পথে তাকে সহযোগিতা করেন, তাহলে তার এই দুঃখ, দুর্দশা কিছুটা হলেও কমবে বলে তার বিশ্বাস।

একটি হুইল চেয়ার হলে শামসুল গাজী প্রতিদিন সেটিতে চরে ভিক্ষা বৃত্তি করার জন্য বাহিরে বের হতে পারবেন খুব সহজেই। তাই সমাজের বৃত্তবান কিংবা কোন সংস্থার প্রতি একটি মাত্র হুইল চেয়ারের আকুতি তার। যদি কোন ব্যক্তি তার সেই আকুতির ডাকে সাড়া দিয়ে সহানুভূতি কিংবা মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন। তা

হলে চাঁদপুর রেলওয়ে কোট স্টেশনে গেলেই তাকে পাওয়া যাবে বলে শামসুল গাজী জানান।

প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Share