পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরে ও লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজবে শহর জুড়ে অধিক মূল্যে লবণ কেনার ধুম পড়ে গেছে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দিনব্যাপী সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
পেঁয়াজের মতো লবণের মূল্যও বেড়ে যাবে শুনে শহর এবং গ্রামে সর্বত্র জায়গায় বেশি, বেশি করে নিদিষ্ট মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য দিয়ে লবণ ক্রয় করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার জেলার সর্বত্র স্থানে সকাল থেকে শুরু করে দিনব্যাপী লবণ কেনার ধুম পড়ে যায়। তবে লবণের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এমন গুজব আতংক বেশির ভাগই গৃহিনীদের মাঝে দেখা যায়। আর লবণের মূল্য বৃদ্ধির খবর শুনে অধিকাংশ মানুষই ১০/ ১৫ কেজি করে লবণ কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
খবর নিয়ে জানাযায়, যেখানে প্রতি কেজি লবণের নির্ধারিত মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ক্রেতারা তা নির্ধারিত সে মূলের চেয়ে ৬০/৭০ টাকা মূল্যে ১০/১৫ কেজি করে লবণ ক্রয় করে নিয়েছেন। তার কারন একটাই নিত্য প্রয়োজনীয় পেঁয়াজের মতো যদি লবণের লাগামহীন মূল্য ও বেড়ে যায়।
লবণের মূল্য বৃদ্ধির এমন গুজবকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরাও অধিক লাভের জন্য নিদিষ্ট মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে লবণ বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। আবার অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা গুজবে কান না দিয়ে লবণের প্যাকেটা থাকা নির্দিষ্ট মূল্যেই লবণ বিক্রি করেছেন।
অথচ খবর নিয়ে জানা গেছে এ বছর কক্সবাজারে রের্কড পরিমান লবণ উৎপাদন হয়েছে। তাই হঠাৎ করে লবণের দাম বৃদ্ধির কোন কারন নেই বলে জানা গেছে।
এমন কি এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রসাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের উপস্থিতে জেলা মার্কেটিং অফিসার এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা মিলে একটি মতবিনিয় সভা করেন।
এ বিষয়ে জেলা মার্কেটিং অফিসার এম এম রেজাউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, লবণের কোন প্রকার দাম বৃদ্ধি হয়নি। কিছু লোক এসব গুজব ছরিয়েছে। আজ বিকেলেও জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান স্যার সহ আমরা বিপনীবাগ এবং কুমিল্লা রোডে পরিদর্শন করেছি। সেখানে লবণের দাম বৃদ্ধির কোন সূত্র আমরা পাইনি। এসময় যারা বেশি পরিমান লবণ ক্রয় করেছে তাদের বেশ ক,জনকে আমরা ধরেছি তাদের বুঝিয়ে বলে পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গুজব ছড়ানোকারী ফরিদগঞ্জে ৩ জন আটক হয়েছে। চাঁদপুরে কোন প্রকার লবণের ঘাটতি নেই। পুরান বাজার দুটি লবণ মেলে প্রচুর পরিমান লবণ আমদানি রয়েছে। তাছাড়া এবার স্মরনকালের রের্কড পরিমান লবণ উৎপাদন হয়েছে। তাই লবণের দাম বৃদ্ধির কোন কারন নেই।
আমরা নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখবো। যারা বেশি দামে লবণ ক্রয় বিক্রয় করবে এবং গুজব ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ১৯ নভেম্বর ২০১৯