চাঁদপুর শাহরাস্তিতে ভাসুরের ছুরিকাঘাতে আহত ভাবি নিহত হয়েছে। রোববার(২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাবি কোহিনুর বেগম মারা যান।
সোমবার(২২ এপ্রিল) সকালে বড় ভাসুর শরীফ আলম চাঁদপুর টাইমসকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,‘সন্ধ্যায় কোহিনুরের মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ঘাতক জহির পলাতক রয়েছে।’
গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পিবার রাত ২ টায় শাহরাস্তি উপজেলার পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের ভাটন খোলা বেপারী বাড়িতে চাচাতো ভাসুর জহিরুল ইসলাম বসতঘরের সিঁধ কেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। ওইসময় তার মেয়ে মুক্তা আক্তারও আহত হয়।
এদিকে প্রবাসে থাকা স্বামী আরিফুল ইসলাম দেশে এসেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেনি।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন দেবর হাবিবুর রহমান।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল গত শুক্রবার রাতে তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
তারা হলো ঘাতক জহিরুল ইসলামের বাবা আবদুল খালেক, মা আমিরুননেসা ও ভাই নুর হোসেন। চাঁদপুর আদালত মা আমিরুন নেসাকে জামিন দিলেও বাকী দুইজন জেলহাজতে রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের মধ্যে বিবাহের একটি ঘটনা নিয়ে দ্বন্ধ চলছে। ওই দ্বন্দের জের ধরে জহির এই ঘটনা করে।
কোহিনুরের দেবর হাবীব বলেন,ঘরে ঢুকে ভাবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। উয়ারুক মেডিল্যাব হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখলে তারা কুমিল্লা সরকারী মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে ওনদিন দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করনো হয়। তারপরও ভাবিকে বাঁচাতে পারিনি।
প্রতিবেদক:মনিরুজ্জামান বাবলু
২২ এপ্রিল,২০১৯
