বাংলাদেশের চাঁদপুর থেকে উদ্ধার হওয়া বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপটি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এই সাপ দিয়েই শুরু হবে এটির এন্টিভেনম বা প্রতিষেধক তৈরির কাজ।
বুধবার তেমনই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রত্যাশা এটাকে লালন পালন করে এর বিষ থেকে গবেষণার মাধ্যমে অ্যান্টিভেনম তৈরিতে সহায়তা করা। যদিও একটি সাপের বিষ থেকেই যে প্রতিষেধক তৈরি করা যাবে এমনও নয় ব্যাপারটি।”
“এজন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে এ প্রজাতির সাপ সংগ্রহ করে, সেগুলোর বিষে তারতম্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে আগে। এরপর সবগুরোর রেফারেন্স নিয়ে অ্যান্টিভেনম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে,” উল্লেখ করেন গবেষক মিজানুর।
রাসেল ভাইপার সাপ বিষয়ে কথা হয় বন্যপ্রাণী বিষয়ক গবেষক আদনান আজাদ আসিফের সঙ্গে।
তিনি জানান, রাসেল ভাইপার সাপ বাংলাদেশে বিলুপ্তির মুখে ছিল। কয়েকটি জেলায় সাপটি দেখা গেলেও চাঁদপুরে এই সাপ বিচরণের সুযোগ নেই। কারণ এদের পানিপ্রীতি নেই, পানিতে থাকা বা শিকার করে না সাপটি। নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে এরা।
তবে সাপ গবেষক মিজানুর রহমানেরও একই মতও, তবে তিনি ধারণা করে বলেন, “পানির সাপ না হলেও এরা পানিতে ভেসে থাকতে পারে, তাই বন্যার পানিতে ভেসে আসতে পারে চাঁদপুরে।”
রাসেল ভাইপারের মতো সাপ দীর্ঘক্ষণ পানিতে ও খাবার ছাড়া টিকে থাকতে পারে কিনা- উত্তরে তিনি বলেন, “কচুরিপানাকে সম্বল করে ভেসেও চলতে পারে। আর যেকোন সাপই ৭-১০ দিন অন্তর খাবার খায়।”
এখন হঠাৎ সাপটির অহরহ প্রাপ্তির প্রসঙ্গে গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বলেন, “আগেও হয়তো ছিল, কিন্তু এখন মানুষ ফেসবুকের কল্যাণে বেশি জানতে পারে।”
গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে সাপের কামড়ে মারা যাওয়া অধিকাংশই দংশন হন রাসেল ভাইপারের কামড়ে। গেলো সোমবার চাঁদপুরের সদরের কোড়ালিয়া এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় সাপটি।
রাসেল ভাইপার তথা চন্দ্রবোড়া সম্পর্কে জানতে পড়তে দেখুন
বার্তা কক্ষ, ২৪ আগস্ট ২০১৯