বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে বায়োমেট্রিক তথ্যসহ পরিচয়পত্র পেয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী। পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকারী ১২ বছরে অধিক বয়সী তথ্য যাচাই করা সকল মিয়ানমার নাগরিককে এ পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
এ পরিচয়পত্রটি রোহিঙ্গাদের নানা সহায়তা প্রদানে ব্যবহৃত হবে এবং আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে। বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত এ পরিচয়পত্রটি নকল বা জাল করা সম্ভব নয়। এটি কোনো কোনো রোহিঙ্গার ক্ষেত্রে জীবনের প্রথম পরিচয়পত্র।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইউএনএইচসিআর-এর মিডিয়া কমিউনিকেশন অফিসার জোসেফ ত্রিপুরা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তথ্য জানান।
আগামী ৩ মাসের মধ্যে সব রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনতে ৫৫০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থাপিত সাতটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত নিবন্ধন করা হচ্ছে।
কার্ডে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে যে তাদের মূল দেশ মিয়ানমার। তারা যখন নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইবে এই কার্ডটি তাদের নিজ দেশে ফেরার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ইউএনএইচসিআর এর বায়োমেট্রিক পরিচয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (বিআইএমএস) বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন আঙুলের ছাপ, চোখের মনির স্ক্যান করা তথ্য সংরক্ষণ করে, যা প্রত্যেক শরণার্থীর পরিচয় নিশ্চিত করবে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৯ আগস্ট ২০১৯