রাজনীতি

আইন ভঙ্গ করে ছাত্রলীগ নেতাদের সরানো হয়েছে : রিজভী

আইন ভঙ্গ করে ছাত্রলীগ নেতাদের সরানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেছেন, নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান আইন-কানুন সব লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন। এতে কী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ভঙ্গ হয় না?

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আওয়ামী লীগের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্রের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী ছাত্রলীগ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মাত্র। এদিক থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে কোনো আদেশ-নির্দেশ দেওয়া বা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা কেবল পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখে।

কিন্তু বাস্তবে, গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে শেখ হাসিনা তাদের গঠনতন্ত্র ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে বাই ফোর্স সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে পদচ্যুত করেছেন।

সেকথা স্বীকার করে পরদিন রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ফ্লাইওভার পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে এ প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বাধ্যতামূলক পদত্যাগ করানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দেখভাল করছেন। ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন সম্পন্ন করতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে ১৪ সেপ্টেম্বর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এ কাউন্সিল ও নেতৃত্ব নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে ছাত্রদলের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। কিন্তু কাউন্সিল অনুষ্ঠানের মাত্র দু’দিন আগে বর্তমান মিডনাইট নির্বাচনের ফ্যাসিস্ট সরকার আজ্ঞাবহ আদালত থেকে তড়িঘড়ি করে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে কাউন্সিল বন্ধ করে দেয়। কোনো ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না নিয়ে যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে রাতের অন্ধকারে আদালতের এ আদেশ বের করা হয়েছে তা থেকে প্রতীয়মান হয়, এর সঙ্গে সরকারের সর্বোচ্চ মহল জড়িত।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা কক্ষ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Share