চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনভর নদীতে নৌ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নৌ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এসময় ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়।
ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে মা ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এদিকে গত কয়েকদিনে নদীতে নৌ-পুলিশের অভিযানে ৩ হাজার ১শ’ জেলেকে জেল-জরিমানা এবং ১৫ কোটি মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এছাড়া ৩৮ টন মা ইলিশ জব্দ করা হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিষেধাজ্ঞা শেষে কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধে জাল তৈরির কারখানাতে নৌ-পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া নৌ পুলিশের অভিযান আরো জোরালো করতে নৌ-যানসহ বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট বাড়ানো হবে বলে নৌ পুলিশের প্রধান জানান।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে নৌ ডিআইজি আরো জানান, কারেন্ট জাল যেন উৎপাদন না হয় সে জন্য আমরা নদী ছাড়াও জাল তৈরির জায়গা বন্ধ করার যেষ্টা করছি। আমরা মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে ৩০ অক্টোবরের পরেও আমাদের অভিযান পরিচালনা করবো। জেলেদের গ্রেফতার করা বা তাদের হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য না, আমাদের উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করা। জেলেরা যেন নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ না ধরে অন্য কোন কাজ করে। তারাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় মাছগুলোও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোল্লা নজরুল, পুলিশ সুপার এবিএম হারুনুর রশিদ, সফিকুল ইসলাম, জমশের আলী।
এছাড়াও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অাসাদুল বাকী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেড মনঞ্জুরুল মোরশেদ, নৌ পুলিশেরর আবু তাহের খানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯